এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > করোনা পরিস্থিতিতে বড়সড় সুখবর পেনশনারদের জন্য? বাড়তে চলেছে টাকা? জানুন বিস্তারিতভাবে

করোনা পরিস্থিতিতে বড়সড় সুখবর পেনশনারদের জন্য? বাড়তে চলেছে টাকা? জানুন বিস্তারিতভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা আবহে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি মার খেয়েছে। ফলে সেই তালিকা থেকে বাদ যাইনি আমাদের দেশও। মহামারীর প্রকোপে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে ইতিমধ্যেই সরকার থেকে নেওয়া হয়েছে অনেকগুলি প্রকল্প। তবে বর্তমানে উত্তরবঙ্গের অবস্থা যথেষ্ট খারাপ বলেই এরমধ্যে মনে করা হচ্ছে। তার কারণ মূলত পর্যটনশিল্প ভিত্তিক এই অঞ্চলে মানুষের দুর্দশা রয়েছে যথেষ্ট। সেই সঙ্গে চা শিল্পও যথেষ্ট ধাক্কা খেয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থাও বেশ খারাপ। এমন পরিস্থিতিতে পেনশন ভোক্তাদের জন্য খুশির খবর আনলো রাজ্য প্রশাসন।

জানা গেছে, রোপা-১৯ অনুসারে পেনশন প্রাপকদের পেনশন স্কেল রিভিশনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে দু’হাজার পেনশনভোগীর আবেদন জমা পড়েছে উত্তরকন্যার ডিরেক্টার অব পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড গ্রুপ ইন্সুরেন্স বিভাগে (ডিপিপিজি)। সেক্ষেত্রে আবেদনগুলি যাচাই করার কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই আবেদনকারীরা বর্ধিত হারে পেনশন পাবেন বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে পুরসভা, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, লাইব্রেরি, স্কুল প্রভৃতি স্থানে অবসর নেওয়া কর্মচারীদের পেনশন চালু রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁরা প্রত্যেকেই রোপা ২০০৯ অনুসারে পেনশন পাচ্ছেন। তবে সেটা যথেষ্টই কম। তাই এবার রোপা ২০১৯ অনুসারে তাঁদের পেনশন রিভাইসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতে তাঁদের পেনশন ও গ্র্যাচ্যুইটি অনেকটা বাড়বে বলেই প্রশাসনের একাংশ মনে করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে উত্তরকন্যায় অর্থ দপ্তরের ডিরেক্টার অব পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড গ্রুপ ইন্সুরেন্স বিভাগ (ডিপিপিজি) অবস্থিত রয়েছে। হিসেব অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত এই চার বছরে উত্তরবঙ্গে সরকার পোষিত বিভিন্ন সংস্থা থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন ৬ হাজারেরও বেশি কর্মচারী। তাদের মধ্যে রোপা ২০১৯ অনুসারে পেনশন রিভাইস বা সংশোধনের আর্জি জানিয়েছেন প্রায় ২০০০ জন পেনশনভোগী। তাঁরা প্রত্যেকেই শিক্ষা, পুরসভা, পঞ্চায়েত প্রভৃতি দপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী।

তাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সংশ্লিষ্ট আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এরই মধ্যে নতুন করে পেনশন চালু করার আবেদনও জমা পড়েছে। সবমিলিয়ে প্রতি মাসে ৩০০-৪০০টি করে আবেদন জমা পড়ছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রশাসনের এক আধিকারিকের মতে যাদের পেনশন প্রথম চালু হচ্ছে তাদের সঙ্গে পেনশন সংশোধনকারীরাও এই বর্ধিত হারে পেনশন পাবেন।

অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে লকডাউনের জেরে হস্তশিল্প, কুটির শিল্প ও পর্যটন শিল্প সহ ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত বন্ধ দীর্ঘদিন। এই অবস্থায় তাই সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন বণিক সংঘগুলি। বণিক সংগঠনের একজনের কথায় করোনা পরিস্থিতিতে শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা শোচনীয়। তাই শিল্প কেন্দ্রে বিদ্যুৎ মাশুল ও ভাড়া মুকুব করা, ব্যাঙ্ক ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো, ঋণ পুনর্গঠন করা, বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ভর্তুকি ঘোষণা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!