করোনা প্রাণ কেড়ে নিল বিশিষ্ট অধ্যাপকের, সৎকারের অভাবে দীর্ঘক্ষন পড়ে রইল অধ্যাপকের নিথর দেহ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য April 24, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আক্রান্ত হয়ে আজ ভোরবেলা মৃত্যু হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটিস্টিক্সের অধ্যাপক আদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের। কিছুদিন ধরে তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তবে তাঁর শরীরে করোনার তেমন কোনো উপসর্গ ছিলো না। একারনে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা’ করাচ্ছিলেন তিনি। আজ ভোর বেলায় প্রথমে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় অধ্যাপকের। এরপরই তাঁর হঠাৎ মৃত্যু হয়। লেক গার্ডেন এর বাসিন্দা অধ্যাপক আদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের আজ ভোর পাঁচটায় মৃত্যু হয়েছে। তবে দীর্ঘসময় ধরে তাঁর মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে ছিল, সৎকারের ব্যবস্থা করা যায়নি। কিছুক্ষণ আগে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে ধাপার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে পুরসভার শববাহী গাড়ি। দীর্ঘক্ষন অধ্যাপকের মৃতদেহ সৎকার না হওয়ার কারণে, এলাকাবাসী যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। অধ্যাপকের মৃতদেহ সৎকারের উদ্দেশ্যে প্রথমে পুলিশ স্টেশনে ফোন করা হয়েছিল। এরপর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয় কলকাতা পুরসভাকে। শেষ পর্যন্ত পুরসভার শববাহী গাড়ি এসে অধ্যাপকের নিথর দেহ নিয়ে চলে যায় ধাপার উদ্দেশ্যে। গত বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন অধ্যাপক আদিত্য চট্টোপাধ্যায়। তবে তাঁর শরীরে তেমন কোন সমস্যা ছিল না। জ্বর ছাড়া আর কোন সমস্যা অধ্যাপকের না থাকায়, বাড়িতে থেকেই তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর জন্য একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে গিয়েছিলেন। তবে বেশ কিছু স্থানে ঘুরেও মেলেনি অক্সিজেন সিলিন্ডার। এক দোকানে অক্সিজেন সিলিন্ডার পাওয়া যায়, কিন্তু দোকানদার জানান, আরো খারাপ পরিস্থিতির কোন করোনা রোগীর জন্য এই অক্সিজেন সিলিন্ডার রেখে দিতে চান তাঁরা। অধ্যাপকও এতে সম্মতি দেন। অধ্যাপক জানান, তাঁর সিলিন্ডারের প্রয়োজন নেই। অন্য কোন মানুষের প্রয়োজন হলে তাঁকে এই সিলিন্ডার দিতে। কিন্তু আজ ভোরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যায় অধ্যাপকের। এই অল্প সময়ের মধ্যে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কোন ব্যবস্থা করা যায়নি। অন্য দিকে আজই অধ্যাপককে হাসপাতালে ভর্তি করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু আজ সকালেই মৃত্যু ঘটলো অধ্যাপকের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবারে। দীর্ঘক্ষন অধ্যাপকের দেহ সৎকার না হওয়ায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আপনার মতামত জানান -