করোনা প্রতিষেধক দিতে এবার কলকাতা পুরসভার নয়া উদ্যোগ কলকাতা রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য June 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। তবে লকডাউনে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই রাজ্যজুড়ে বেশ কিছুটা সংক্রমণ কমেছে করোনার। তবে অনেকেই মনে করছেন, করোনা টেস্টের খামতির কারণেই সংক্রমণ কম দেখাচ্ছে। টেস্ট হলে সংখ্যা আরো বাড়বে বলে দাবি অনেকেরই। তবে টেস্ট না হলেও প্রতিষেধক নিয়ে কিন্তু এবার বড়োসড়ো পদক্ষেপ কলকাতা পুরসভার। এতদিন পর্যন্ত প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বা কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। কিন্তু এবার থেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাসে উঠে প্রতিষেধক নিতে পারবেন যে কেউ। এ ব্যাপারে কলকাতা পুরসভার প্রধান প্রশাসক এবং নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, এবার থেকে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইলস’। পাশাপাশি ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে যা অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক। তবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে যা যা কর্মসূচি চলার সেগুলি চলবে। ফিরহাদ হাকিম আরও জানিয়েছেন, পরিবহণ দপ্তর থেকে একটি বড় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যাটারি চালিত বাস দেওয়া হয়েছে। সেই বাসেই ভ্যাক্সিনেশন দেওয়া হবে। যারা ভ্যাক্সিনেশন নেবেন, তাঁরা আধঘন্টা বসার পর বেরিয়ে যেতে পারবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আধঘন্টা থাকার পর যদি কোনো অসুবিধা হয়, তাহলে বাসের ভেতরে থাকা চিকিৎসক বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখবেন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই নতুন পরিষেবা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাস টার্মিনাল এবং অটো স্ট্যান্ড ও রিক্সা স্ট্যান্ডে থাকবে এই বাস। সমস্ত জায়গা ঘুরে ঘুরে এই বাস থেকে ভ্যাকসিনেশনের কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, দোকানদারদের সুবিধার্থে এই পরিষেবা চালু হলো বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। দোকানদাররা যাতে আধঘন্টার জন্য বাসে উঠে প্রতিষেধক নিয়ে আবার কাজে ফেরত যেতে পারেন সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিষেধক নিলেও মাস্ক ব্যবহারে কিন্তু এখনও যথেষ্ট কড়াকড়ি আছে। একইসাথে কলকাতাবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। খুব স্বাভাবিকভাবেই কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের। আপাতত লক্ষ্য প্রতিষেধক দিয়ে করোনা সংক্রমণের হার কমানো। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই লক্ষ্যে যত তাড়াতাড়ি পৌঁছানো যাবে ততো তাড়াতাড়ি সংক্রমনের প্রভাব কমবে। আপনার মতামত জানান -