এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা প্রতিষেধক নিয়ে এবার বড়ো ধাক্কা খেল ভারত সরকার, সমালোচনা তুঙ্গে

করোনা প্রতিষেধক নিয়ে এবার বড়ো ধাক্কা খেল ভারত সরকার, সমালোচনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রীতিমতো চরম আতঙ্ক তৈরি করেছে দেশবাসীদের মধ্যে। পাশাপাশি প্রবল উদ্বিগ্ন এই মুহূর্তে চিকিৎসকরাও। দেশজুড়ে অক্সিজেনের অভাব, হসপিটালে বেডের অভাব, ওষুধের অভাব, প্রতিষেধকের অভাব মানুষের মনে আরো হতাশা সৃষ্টি করছে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এমন একটি খবর সামনে এসেছে প্রতিষেধক সংক্রান্ত যা চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ফাইজার এবং মর্ডানা টিকা রপ্তানি করার আবেদন করেছিল। কিন্তু সেই আবেদন ফিরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফল বর্তমানে বিভিন্ন রাজ্যের টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশে টিকার জন্য হাহাকার চলছে।

রাজ্যগুলোকে ইতিমধ্যে সরাসরি বিদেশী সংস্থার টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছেনা। আপাতত দেশে রাশিয়ার স্পুটনি’ ছাড়া অন্য কোন বিদেশি সংস্থার টিকা পাওয়া যাবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। এবং বিশেষজ্ঞদের মতে এই বড়োসড়ো দুর্বিপাকের জন্য একমাত্র দায়ী মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত।

প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, ফাইজার সংস্থা ভারতে তাঁদের টিকা জরুরিকালীন ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেয়। যথারীতি এরপর মার্কিন টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা তাঁদের আবেদন তুলে নেয়। এরপর ফেব্রুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত মাত্রাছাড়া হারে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে ভারতে।

গত 2 রা ফেব্রুয়ারি থেকে 24 শে মে পর্যন্ত 1 লক্ষ 49 হাজার 17 জন করোনা আক্রান্ত মানুষ মারা গিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে 13 এপ্রিল হঠাৎ করে কেন্দ্র আগের সব শর্ত তুলে নিয়ে ঘোষণা করে, যদি বিদেশের কোন টিকা সংস্থা এদেশে আসে, তাহলে তাঁদেরকে আর কোন ট্রায়াল চালাতে হবেনা। আগের শর্ত ছিল, এদেশের মানুষকে টিকা দিতে গেলে উৎপাদনকারী সংস্থাকে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার ট্রায়াল পাস করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের ঘোষণা যতদিনে করেছে ততদিনে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা যাচ্ছে। দুই হাজার কুড়ি সালের ডিসেম্বর মাস থেকে মডার্না এবং ফাইজার সংস্থা বিভিন্ন দেশে টিকা সরবরাহ শুরু করে। ইতিমধ্যেই এই দুই সংস্থাকে বহুদেশ টিকা তৈরি করার বরাত দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি ভারতের জন্য তাঁদের কাছে টিকা উৎপাদন প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত তাঁরা যা বরাত পেয়েছে তাতে 2023 সালের আগে ভারতবাসী টিকা পাবেনা। আর এই একই কথা এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও মেনে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই যুগ্ম-সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন, মডার্না এবং ফাইজার সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। কিন্তু তারা কতটা কি যোগান দিতে পারবে তা নির্ভর করছে তাঁদের অতিরিক্ত উৎপাদন কতটা হয় তার ওপর।

জানা গিয়েছে, সোমবার আমেরিকার টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কথা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো আশার কথা শোনা যায়নি। সব মিলিয়ে ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের গড়িমসির কারণে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি এসে দাঁড়িয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। আপাতত সমস্যার সমাধান কি করে হবে তা নিয়ে চলছে উচ্চস্তরের কথাবার্তা। তবে দেশের করোনা পরিস্থিতি যে মাআত্মক হয়ে উঠতে চলেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!