করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েও নেই রেহাই! নতুন রিপোর্টে আরও বাড়ছে আতঙ্ক! অন্যান্য আন্তর্জাতিক শরীর-স্বাস্থ্য April 10, 2020 মারাত্মক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ধীরে ধীরে এখন চীনের অবস্থা স্বাভাবিক হতে চলেছে। অন্যদিকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতেও একইভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও এই অবস্থায় হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চীনে আবার ফিরে এসেছে বলে জানা গেছে। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার চীন করোনার সংক্রমণে আক্রান্ত হলো বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এই ঘটনাটিকে অবশ্য স্বাভাবিকভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সাধারণ জ্বর হলে যেভাবে মানবদেহে ইমিউনিটি পাওয়ার গড়ে ওঠে, করোনার ক্ষেত্রে কিন্তু সেরকম কিছু হয়না। দক্ষিণ কোরিয়ার করনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বর্তমানে সেখানে 51 জন নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ভারতের সংক্রমণ সংখ্যা বেড়ে প্রায় ছয় হাজারের বেশি দাঁড়িয়েছে। যদিও তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে এখনো পর্যন্ত বাড়ি ফিরেছেন প্রায় 600 মানুষ। কিন্তু সুস্থ হলে যে দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রামিত হবেন না, সে কথা জোর দিয়ে কখনোই বলা যাবেনা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এখনো পর্যন্ত চীনের ইউহান প্রদেশে করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন, তাঁদের মধ্যে 10% এবং কুয়াংতুং প্রদেশের 14% মানুষ দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত দেখা গেছে, বেশিরভাগ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে সেখানেই সে অ্যান্টিবডি তৈরি করে ফেলে। যার ফলে, দ্বিতীয় বার ওই ভাইরাসটি আর সংক্রামিত করতে পারেনা। দ্বিতীয়বার হলেও শরীরের নিজস্ব ইমিউনিটি পাওয়ার তা রোধ করে দেয়। কিন্তু করোনা প্রসঙ্গে স্পেনের জাতীয় জৈব বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের একজন জীবাণু বিশেষজ্ঞ লুইস এনজুয়ানেস জানিয়েছেন, করোনার সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে 14% মানুষ দ্বিতীয়বার করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা এবং গবেষকরা করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বেশ কিছুদিন ধরেি। বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন তথ্য উঠে আসলেও এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সঠিক কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই বিজ্ঞানীদের দাবি, শুধুমাত্র সর্তকতা এবং সচেতনতার উপর নির্ভর করেই এইমুহুর্তে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। তবে এই লড়াইয়ে কে জিতবে শেষ পর্যন্ত তা অবশ্য এখনই বলা সম্ভব না হলেও পূর্ব ইতিহাস লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, মানবজাতির সাথে লড়াইতে বারংবার হার হয়েছে অনু-পরমানু জীবাণুর। আপনার মতামত জানান -