এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক, পাল্টা প্রশ্ন তুলে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল!

করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক, পাল্টা প্রশ্ন তুলে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নির্বাচনের সময় হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস। গোটা দেশে এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ যখন আছড়ে পড়েছে, তখন স্বাভাবিক নিয়মে তা প্রবেশ করেছে বাংলায়। তবে বাংলায় নির্বাচনে প্রচার এবং মিটিং-মিছিল চলার কারণে কমিশনকে বারবার সতর্ক করেছে আদালত। ইতিমধ্যেই একাধিকবার এই বিষয়ে তিরস্কারের মুখে পড়তে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দোসরা মে গণনার দিন যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় এবং তাদের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে, তার জন্য বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করেছিল নির্বাচন কমিশন।

কমিশনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল, প্রার্থী এবং যারা এজেন্ট হবেন, তাদের সকলকে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ দেখিয়ে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, তখন নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিল সকল পক্ষ। তবে এবার কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থী এবং এজেন্টদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, এবার পাল্টা একটি প্রশ্ন তুলে সেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রার্থী এবং এজেন্টেদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক হলেও পোলিং অফিসার এবং বাহিনীর ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল ঘাসফুল শিবির।

সূত্রের খবর, অষ্টম দফার নির্বাচন যখন চলছে, তখন এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে উপস্থিত হয় তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল। যেখানে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আর সেখানেই কমিশনের কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের এই প্রতিনিধি দল। সৌগত রায় বলেন, “গণনার দিন পোলিং অফিসার এবং বাহিনীর ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নয় কেন?”

অর্থাৎ শিলিগুড়ির পুলিশ বাহিনীর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে চাপে ফেলে দেওয়া হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বারবার নির্বাচনে নির্বাচনী অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে গণনার দিন যখন প্রার্থী এবং এজেন্টদের ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক, তখন পাল্টা পোলিং অফিসার এবং বাহিনীদের সেই রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে দাবি তুলতে শুরু করল রাজ্যের শাসক দল। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এই দাবি নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একাংশ বলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের এই দাবি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। করোনা ভাইরাস যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পোলিং অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর করোনা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক বলে দাবি করা হয়েছে। সেদিক থেকে এটা অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য। কেননা বেছে বেছে শুধুমাত্র প্রার্থী এবং এজেন্টের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ করা বাধ্যতামূলক বললেই হবে না।

এক্ষেত্রে পোলিং অফিসার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনো সদস্যের মধ্যে যদি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তা মুহূর্তের মধ্যে সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যা আরও ভয়াবহ। তাই গণনা কেন্দ্রে যারা প্রবেশ করবেন, তাদের ক্ষেত্রেই করোনা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। সেদিক থেকে তৃণমূলের এই দাবি অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন তৃণমূলের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!