এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > গঙ্গাসাগর মেলার আগে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮০০ সেচ্ছাসেবকের দল গঠন রাজ্যে।

গঙ্গাসাগর মেলার আগে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ৮০০ সেচ্ছাসেবকের দল গঠন রাজ্যে।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পৌষ সংক্রান্তির আর বেশি দেরি নেই। সেখানে কুম্ভমেলার পর ভারতের অন্যতম বৃহৎ তীর্থযাত্রা হিসেবে গঙ্গাসাগর মেলা অন্যতম। আর এই মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে করোনা পরিস্থিতি নতুন করে না মাথা চাড়া দেয়, তাই আগাম সতর্কতার জন্য সরকারের তরফে মেলার সময় ৮০০ সেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে সকলে করোনাবিধি মেনে চলতে হবে বলেও জানান হয়েছে।

বস্তুত, ব্রিটেন ফেরত বিমান যাত্রীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে বর্তমানে দেশের করোনার গ্রাফ বেশ কিছদিন ধরেই নিম্নমুখী। দেশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছু কমেছে। অন্যদিকে, নতুন বছরের শুরুতেই অক্সফোর্ড -অস্ট্রাজেনেকা এবং ভারত বায়োটেক ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে।

তাই এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি না পায় তাই সেক্ষেত্রে নজর রাখার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত তীর্থযাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে মেলাপ্রাঙ্গণে পৌঁছানোর আগে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা (আরএটি) করা নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে তিনি এই বছর মেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে মেলাটি ছোট করে অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ করোনা পরিস্থিতি পুনরায় সঙ্গীন হয়ে উঠুক সেটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। প্রসঙ্গত এই বছর গঙ্গা সাগর মেলা – জানুয়ারীর ৮ তারিখ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ই জানুয়ারী ভোর ৬:০২ থেকে শুরু করে ১৫ই জানুয়ারী সকাল ৬:০২ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী পবিত্র স্নান করবেন।

তাই এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, কোনো পুণ্যার্থীকেই মেলায় আসতে বাধা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই সেক্ষেত্রে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে এবং দায়িত্ববান হয়ে কাজ করতে হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে মেলা প্রাঙ্গণে ১৩ টি প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং ক্যাম্প, ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি কোভিড -১৯ হাসপাতাল, ৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৮টি সেফ হোম, ১১ টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং ৫টি আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া ড্রোন, জলের অ্যাম্বুলেন্স এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “সাগরবন্ধু” নামের এই সেচ্ছাসেবকদল তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষাব্যবস্থা যেমন মুখোশ পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা প্রভৃতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। সেইসঙ্গে অনলাইনেও এই মেলার অংশ হওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!