এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা রোধের কথা না ভেবে উনি কিভাবে বিজেপিকে আটকাবেন ভাবেন! বিস্ফোরক মমতার প্রাক্তন সৈনিক

করোনা রোধের কথা না ভেবে উনি কিভাবে বিজেপিকে আটকাবেন ভাবেন! বিস্ফোরক মমতার প্রাক্তন সৈনিক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগে থেকেই ঠিক ছিল কনটেইনমেন্ট জোনে বিধিনিষেধ জারি করে আনলক ওয়ান এবং টু এর মধ্যে দিয়ে ক্রমশ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে রাজ্য। কিন্তু আদতে ফল হলো উল্টো। আনলক সময়কালের মধ্যে বিধিনিষেধ শিকেয় তুলে রাস্তায় যেভাবে মানুষজন বেড়িয়ে পড়েছিল, তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিশেষজ্ঞরা। এবং বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে রাজ্যজুড়ে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

আর তাই এবার করোনার বাড়বাড়ন্তে লাগাম দিতে বাংলায় ফের একবার লকডাউন ফিরিয়ে এনেছে রাজ্য সরকার। আপাতত করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে বলে জানা গেছে। বিরোধী শিবির বিজেপি রাজ্য প্রশাসনের দ্বিতীয়বার লকডাউন ফিরিয়ে আনার মধ্যে তাঁদের ব্যর্থতাকেই দেখছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আর এ ব্যাপারে এবার মুখ খুললেন একদা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক তথা বর্তমান রাজ্য বিজেপির সহ-সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। তিনি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোজাসুজি অভিযোগের আঙুল তুলে বলেন, যে সময় রাজ্যে কড়া লকডাউনের দরকার ছিল, সেসময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দোকান, বাজার খুলে দিয়েছিলেন। আর এর ফলেই করোনার বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। উপরন্তু ভারতী ঘোষ এদিন বর্তমান লকডাউন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রশ্ন তোলেন, যে করোনাকে তিনমাস লকডাউন করে আটকানো গেলনা সেই করোনাকে এক সপ্তাহ লকডাউন করে কিভাবে আটকানো যাবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উপরন্তু করোনা সংক্রমণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা বিভিন্ন মন্তব্য উল্লেখ করে এদিন ভারতী ঘোষ পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন, করোনা সংক্রমণ আটকানোর কোন সদিচ্ছা নেই রাজ্য সরকারের। আর তার জন্যই রাজ্যের এই বেহাল দশা। বরং মুখ্যমন্ত্রী সর্বক্ষণ চিন্তা করছেন, করোনার সংক্রমণ রোধ না করে কি করে বিজেপিকে আটকানো যাবে! প্রসঙ্গত ভারতী ঘোষ একসময় তৃণমূলের ঘরের লোক ছিলেন বলেই জানা যায়। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে তার চাকুরী জীবনে বিবাদ লাগে আর সে কারণেই তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে সোজা বিজেপিতে যোগদান করেন।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে ইতিমধ্যে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। আর সেই লক্ষ্যেই বিজেপির বাছাই সৈনিকরা যেভাবে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে এই মুহূর্তে মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়, সে কথা কিন্তু স্পষ্ট। আর তাই রাজ্য বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের অভিযোগ তৃণমূল শিবিরকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!