এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা পজিটিভের সরকারি তথ্যের থেকে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা ১০ গুণ বেশি? ICMR-এর সমীক্ষায় জল্পনা

করোনা পজিটিভের সরকারি তথ্যের থেকে প্রকৃত রোগীর সংখ্যা ১০ গুণ বেশি? ICMR-এর সমীক্ষায় জল্পনা


 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রতিদিন খবরে দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। প্রতিদিন যেখানে আক্রান্ত নতুন রেকর্ড করছে, সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু সম্প্রতি আইসিএমআরের তরফে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে এই দুশ্চিন্তা যে বাড়বে বৈ কমবে না তাই প্রমাণ করা হচ্ছে। কারণ করোনার ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই জানা গিয়েছিল, করোনা আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত। যার ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়াটা আলাদা বিষয় নয়।

যার ফলে বর্তমানে যে হারে আক্রান্তের সংখ্যাকে তুলে ধরা হচ্ছে, তার বাইরেও যে একটা বড় শতাংশের মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, একথা অস্বীকার করে নেওয়া যায় না। ডাক্তারদের মতে, ওয়েদার চেঞ্জ হওয়ার সময় সাধারণত সকলেই কম বেশি ঠান্ডা লাগায় ভোগেন। সেক্ষেত্রে হালকা জ্বর, সর্দি কাশি হলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তা সারিয়ে নেওয়া যায়। আর তা না হলে নিজেরাই সামান্য ওষুধ খেয়ে বাড়িতেই সরিয়ে ফেলেন অসুখ। ডাক্তারের কাছে আসার খুব একটা প্রয়োজন সেক্ষেত্রে হয়না। অথচ এখানেই ডাক্তারদের মতে পরীক্ষা করালে দেখা যেত ওই ব্যক্তিও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এভাবে অনেক মানুষই যে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানের বাইরে রয়েছে সে কথা অস্বীকার করে নেওয়া যায় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে করোনা নিয়ে এক সামাজিক ভীতিও তৈরি হয়েছে, যার ফলে অনেকে করোনা আক্রান্ত হলেও তা বাইরে বলতে চান না, নিজেরাই ডাক্তারদের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করানোর প্রচেষ্টা করেন। সম্প্রতি আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় শহর এবং শহরতলীর সঙ্গে গ্রামেও মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য যাতায়াত শুরু হয়েছে। এর ফলে করোনা অনেকটা বেশি ছড়িয়ে পড়ার প্রক্রিয়া দেখা গেছে। এবং যে কারণে এখন এত বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে গ্রামে বা মফস্বলে চিকিৎসার পরিকাঠামো ততটা উন্নত না হওয়ায়, অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করাতে মানুষ আসছেন না। তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হচ্ছে না বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

ডাক্তারদের কথায়, সাধারণত করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে শরীরে যখন কোন প্যথোজেন প্রবেশ করে তখন তার বিরুদ্ধে একটা অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়াই নিয়ম। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রতিটি প্যথোজেন হিসেবে প্রতিটি অ্যান্টিবডির চরিত্র কিন্তু আলাদা হয়। তাই মানুষকে যদি গড়ে রক্ত পরীক্ষা করানো যেতে পারে, তাহলে রক্তে উপস্থিত এই অ্যান্টিবডির সাহায্যে করোনা আক্রান্তের সঠিক সংখ্যা জানা যেতে পারে বলেও মনে করেছেন অনেকে। আর এর সঙ্গে আইসিএমআরের তরফ থেকে সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে কনফার্ম করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি দশগুণ বেশি মানুষ থেকে যাচ্ছে করোনা আনলিস্টেড হয়ে।

তবে মানুষের মধ্যে গোপনে এই রোগ কি ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে তা কিন্তু এখনও বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ এর আগে রিসার্চে অনেকবারই দেখা গিয়েছিল যেখানে করোনা সেরে যাওয়ার পরেও মানুষ বহুভাবে এর প্রভাবে জর্জরিত হয়ে রয়েছে। যা কিনা একটা দীর্ঘমেয়াদী সময় পর্যন্ত তার ধ্বংসলীলা চালিয়ে যেতে। বস্তুত তাই বর্তমানে পজিটিভ কেসের পাশাপাশি বাস্তব চিত্রটা অনেকখানি অন্যরকম হতে পারে সেই ধারণাই কিন্তু উঠে এসেছে এই সমীক্ষার মাধ্যমে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!