এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আয়ুর্বেদ আর প্রাণায়ামেই সেরে যাবে করোনা? কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে চরমে জল্পনা!

আয়ুর্বেদ আর প্রাণায়ামেই সেরে যাবে করোনা? কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা ঘিরে চরমে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করার জন্য মন্ত্রক দ্বারা নির্দেশ করা হয়েছে কিছু নিয়ম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও সেই পরামর্শ মেনে চলার কথা বলেছেন। বাড়িতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে এখন শরীরের ইমিউনিটি বাড়ানোটাও জরুরি। তবে নিত্য নতুন গবেষণায় উঠে আসছে হরেক রকম তথ্য। তাই কোনটা করতে হবে, আর কোনটা করতে হবে না, সেই নিয়ে আমরা সকলেই বেশ আশঙ্কাতে আছি। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে চারিদিকে। জানা গেছে, প্রাণায়াম আর আয়ুর্বেদেই নাকি সেরে যেতে পারে করোনা। কিভাবে? জানব এক্ষুনি।

বস্তুত,এতদিন দিল্লির এআইআইএ কিংবা জামনগরের আইপিজিটিআরএ-র মতো প্রতিষ্ঠানেই কোভিডের আয়ুশ চিকিৎসা চলছিল। তবে সবটাই ছিল প্রতিরোধমূলক কাজ। তবে গবেষণা শুরু হয়েছিল একাধিক আয়ুর্বেদ ওষুধ নিয়ে। জানা গেছে, ইতিমধ্যে ২০৩টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আবেদন জমা পড়ে। যার মধ্যে ১২৫টিই আয়ুশ শ্রেণিভুক্ত। এক্ষেত্রে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের দাবি, কোভিড চিকিৎসার প্রোটোকল প্রকাশিত হওয়ায় উপসর্গহীন ও মৃদু্ উপসর্গযুক্ত রোগীদের আয়ুর্বেদ ওষুধ দিতে কোনও বাধা নেই আর। এবার সব আয়ুর্বেদ হাসপাতালকেই তাই করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা যাবে। শুধু আয়ুর্বেদ নয়, একই বক্তব্য যোগ চিকিৎসকদেরও। তাঁদের মতে, সব আয়ুর্বেদ হাসপাতালেই যোগ ক্লিনিক রয়েছে। ফলে যোগ চিকিৎসকরাও এবার সেই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় অংশ নিতে পারবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ (এআইআইএ)-এর তথ্য নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। যাতে দেখানো হয়েছিল, কী ভাবে আয়ুশ পদ্ধতিতে চিকিৎসা কর কোভিড রোগীদের মধ্যে সকলকেই সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, দিল্লির এই সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতালের কথাই সর্বাগ্রে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে জামনগরের আইপিজিটিআরএ, জয়পুরের এনআইএ, সিসিআরএএস, সিসিআরওয়াইএন-সহ একাধিক সংস্থা ও কাউন্সিলের উল্লেখ করে বলা হয় বলেও জানা গেছে। এখানে প্রোটোকলে প্রথমেই বলা হয়, কোভিড মোকাবিলার সাধারণ যে নিয়ম, যেমন মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন, হাত ধোয়া ইত্যাদ অবশ্যই মানতে হবে। সেই সঙ্গে মোট তিনটি ভাগে প্রোটোকলটিকে ভাঙা হয়।                                                                                                                ১)কোভিড আটকাতে কী কী করতে হবে
২)আক্রান্ত হলে কী কী ওষুধ ও যোগা করতে হবে।
৩) কোভিড সেরে যাওয়ার পর কী কী করা উচিত।

তবে দেখতে গেলে দেখা গেছে তিনটি ক্ষেত্রেই কিন্তু ওষুধ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে অশ্বগন্ধা ও গুরুচি। এছাড়া রয়েছে কপালভাতি, ভ্রামরী, উজ্জায়ী, সূর্যভেদী প্রাণায়ামও। এছাড়াও চ্যবনপ্রাশ, আয়ুর্বেদ ক্বাথ, সীতোপলাদি চূর্ণ, নাগারাদি কষায়, কূটজ ঘনবটির কথা উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা হয়েছে। আয়ুর্বেদ ওষুধের তালিকায় এমন নানা ভেষজ করোনা মোকাবিলায় জায়গা করে নিয়েছে। এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে গিয়ে জানা গেছে, বস্তুত দেশের একাধিক আয়ুশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সুপারিশক্রমেই কোভিড চিকিৎসার এই নয়া প্রোটোকল প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য- স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও আয়ুশমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, কেন্দ্র যতই প্রোটেকাল বানাক, রাজ্য যদি তা মানতে না চায়, তাহলে সাধারণ মানুষই কিন্তু আয়ুর্বেদের সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। তাই সকলকে একসাথে মিলে লড়াই করতে হবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!