এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা আবহেই নতুন করে জল্পনা বাড়াচ্ছে সারদা-নারদ! ঝড় উঠতে চলেছে কি বঙ্গ রাজনীতিতে?

করোনা আবহেই নতুন করে জল্পনা বাড়াচ্ছে সারদা-নারদ! ঝড় উঠতে চলেছে কি বঙ্গ রাজনীতিতে?


ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সততার প্রতীক” হিসেবেই তুলে ধরতেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৎকালীন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর প্রায় প্রতিটি পোস্টের নিচে লেখা থাকত সততার প্রতিমূর্তি। কিন্তু 2011 সালে রাজ্যে পট পরিবর্তনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার কিছু বছরের মধ্যেই শাসকদলের অস্বস্তি বাড়তে শুরু করে। আর সারদা নামক চিটফান্ডে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যায়।

যার জেরে সিবিআই তদন্তে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীকে শ্রীঘর পর্যন্ত যেতে হয়েছে। আর সারদা-কাণ্ড যখন অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে, ঠিক তখনই নারদা স্টিং অপারেশনের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিস্ফোরক ভিডিওতে দেখা যায়, তৃণমূলের অনেক সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক এমনকি হেভিওয়েট মন্ত্রীরাও টাকা নিচ্ছেন। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখে নি প্রিয় বন্ধু মিডিয়া।

আর এরপর থেকেই সারদা এবং নারোদা তীব্র পরিমাণে অস্বস্তিতে ফেলতে শুরু করে রাজ্যের শাসক দলকে। বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই দুই বিষয়কে তুলে ধরে তৃণমূলকে আরও কোণঠাসা করার প্রয়াস শুরু হয়। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে কিছুদিনের জন্য সারদা এবং নারদা নিয়ে সমস্ত রকম তদন্ত বন্ধ থাকলেও, এবার কি ফের খুলতে চলেছে সারদা এবং নারদা? এবার তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, সারদা এবং নারদা দুই তদন্ত আবার খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে।

আর যদি তা শুরু হয়ে যায়, তাহলে রাজ্য রাজনীতির অনেক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী এবার তদন্তের মুখে পড়বেন বলে দাবি করছে একাংশ। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে রাজনৈতিক দলগুলিকে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে এসেছেন, সারদা-নারদে তদন্ত হলে নাকি অস্বস্তি বাড়বে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসেরই। কেননা এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি বা স্টিং অপারেশনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাম জড়িয়েছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদেরই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও অন্যদলের বেশ কিছু নেতাও এই তদন্তে ডাক পেয়েছেন। বিরোধী দল বিজেপি তো প্রায়শই দাবি করে থাকে, এর ফলে রাজ্যের শাসকদলের আসল উদ্দেশ্য মানুষের সামনে নাকি স্পষ্ট হয়ে যাবে। যেভাবে সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে নয়ছয় করা হয়েছে, এই দুই তদন্ত হলে তা সামনে বেরিয়ে আসবে বলেও দাবি করে থাকে গেরুয়া শিবির। এমনকি, বিজেপির অনেক শীর্ষ বা কেন্দ্রীয় নেতাও বলে থাকেন, এই দুই তদন্তের প্রভাব পড়বে বিধানসভা নির্বাচনে। বাংলার মানুষ এবার তৃণমূলের সরকারকে উৎখাত করবেই।

অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিজেপির এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাদের পাল্টা দাবি আসলে, বিজেপি সব সময় বিভিন্ন এজেন্সি লাগিয়ে হেনস্থার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে বাংলাকে টার্গেট করে তারা যখন কিছুতেই কিছু করতে পারছে না, তখন এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরে তৃণমূলকে রোখার চেষ্টা করছে। কিন্তু এসব করে লাভের লাভ কিছুই হবে না। বাংলার মানুষ আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই আস্থা রাখবেন। যখনই নির্বাচন এগিয়ে আসে সারদা-নারদের তাস বের হয়ে পরে! এই খেলা নাকি বুঝে গেছে জনগণ!

তবে এই সারদা এবং নারদা নিয়ে যদি সত্যিই তদন্ত প্রক্রিয়া এগোতে শুরু করে, তাহলে অনেক রাজনৈতিক নেতাদের ডাক আসবে এটা নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর রাজনৈতিক প্রচারের সময় যদি এই ডাক আসতে শুরু করে, তাহলে সেভাবে প্রচারে সময় দিতে পারবেন না সংশ্লিষ্ট নেতা নেত্রীরা। ফলে, স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনী ময়দানে পিছিয়ে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা। আর এখানেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন – এখন সারদা নারদের ঝাঁপ খোলা শুধু সময়ের অপেক্ষা।

সুতরাং এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে এখন সারদা এবং নারদা আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি আবার তার ঝাঁপ খুলতে শুরু করে, তাহলে এই সমস্ত বিষয় নিয়েই সেই বিধানসভা নির্বাচনের পটভূমি তৈরি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেও একই রকম পটভূমি তৈরী হয়েছিল – কিন্তু, হাসতে হাসতে জয়ী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবারের লড়াইটা তৃণমূল বনাম বিজেপি – আর তাই সারদা-নারদই না ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে যায় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে, এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!