করোনার করাল গ্রাস কবে শেষ হবে ঠিক নেই! এখন থেকেই পরবর্তী মহামারীর জন্য সতর্ক করল WHO! অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য September 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একে এক মহামারি নিয়ে রক্ষে নেই, আবার অন্য এক মহামারি নিয়ে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একটু বিস্তারে বলতে গেলে বলতে হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী হল উহান এবং এটি মধ্য চীনের সবচেয়ে জনবহুল শহর। এটি হান নদী ও ইয়াংসিকিয়াং নদী প্রান্তের মধ্যবর্তী সীমান্তে পূর্ব জিয়ানগাঁ সমভূমিতে অবস্থিত। তিনটি শহর, ভুচং, হানকু এবং হানয়াইং-এর সংঘটিত হওয়ার ফলে উহানকে ‘চীনের থোয়ারফার’ (ঝিনাইদহ) নামে অভিহিত করা হয়। এ তো গেল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বানিজ্যিক দিক থেকে বলতে গেলে হান শহরের মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি রেলপথ, মহাসড়ক এবং এক্সপ্রেসওয়ে মধ্য দিয়ে চলেগেছে এবং অন্যান্য প্রধান শহরগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে তাই এটি একটি প্রধান পরিবহন হাব হিসেবে পরিচিত। এছাড়া অভ্যান্তরীণ পরিবহনে এর মূল ভূমিকার কারণে, উহানকে কখনও কখনও বিদেশের উৎস দ্বারা “চীনের শিকাগো” বলা হয়। এমন একটি সুন্দর প্রদেশে যে এমন মারাত্মক ভাইরাসের জন্ম দিতে পারে সে কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারেনা। তবে সব কল্পনাকে অবাক করে গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে এক অজানা অজানা রোগের কবলে পরে সেখানকার মানুষ। পরবর্তীকালে যা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে, সামনে আসে করোনাভাইরাসের কথা। তারপর সবটাই ইতিহাস, সেকথা আলাদা করে আর বলে দেওয়ার ফুরসৎ রাখে না। তবে হু-এর কথার এখানে কিন্তু শেষ নয়। বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা একপ্রকার পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এই মহামারী। ফলে বিশ্ববাসীকে এর থেকে শিক্ষা নিয়ে এখনই পরবর্তী মহামারীর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। যাতে পরবর্তী মহামারী এলে আমরা আরও ভালভাবে তার মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ফলে এটি তাদের উচিত এখন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের আর্থসামাজিক এবং সুস্বাস্থের একটি সুন্দর পরিকাঠামো গড়ে তোলা। কারণ তা না হলে ইতিহাস থেকে অনুসরণ করে বলা যেতে পারে এর থেকেও অনেক বড় মহামারীর কবলে ভবিষ্যতে মানুষকে পড়তে হবে। আর এখন থেকে তার কথা ভেবে যদি আগাম প্রস্তুতি নেওয়া না যায় তবে ভবিষ্যতে মানুষের জন্য আরো অনেক বিপদ অপেক্ষা করে আছে। তাই প্রতিটা দেশের উচিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এমন ভাবে গড়ে তোলা যাতে যে কোন বিপদের মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। সেই সঙ্গে বিশ্ববাসীর উচিত বিভিন্ন সর্তকতা অবলম্বন করা। তবে সেক্ষেত্রে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার সঙ্গে সঙ্গে নিজের শরীরের উন্নতি সাধনে নিশ্চয়ই নেওয়া যায় কিছু আগাম ব্যবস্থা। তাই করোনা রুখতে সবার আগে দরকার শরীরের যত্ন নেওয়া। তাই শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে হবে। সেক্ষেত্রে রোজকার ডায়েটে বেশি করে জল, সবুজ শাকসবজি, ফল এগুলি খেতে হবে। নিয়মিত প্রোটিন, ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সম্পন্ন খাবার শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। এর সঙ্গে যাদের দীর্ঘমেয়াদি কোনো অসুখ আছে, তারা নিয়মিত চেকআপ করুন, এবং ওষুধ খাওয়া দরকার। তবে সারাদিন শুধু খেয়ে গেলেই তো হবে না। সারাদিন বাড়ি থেকে আমাদের প্রত্যেকেরই বেলা করে ওঠার অভ্যেস হয়েছে। এর ফলে বেশি রাত জাগার ফলে সকালে উঠে শরীরচর্চা কোনোটাই হচ্ছে না। তাই বেশি দেরি না করে, তাড়াতাড়ি খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়তেই বলছেন হু-এর বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভালো ঘুম না হলে শরীর সুস্থ হবে না। সেই সঙ্গে ভোরবেলা উঠে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা আপনাকে অনেকটা এগিয়ে দেবে সুস্বাস্থের কাছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েই তার থেকে আগামী দিনের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা কেউই এসবের উর্ধ্বে নই। মনে রাখতে হবে বেঁচে থাকতে গেলে এটাই একমাত্র উপায়। আর শুধু আপনিই নন, সারা বিশ্বের মানুষ এই বিষয়গুলিকে মেনে চলছে। আপনার মতামত জানান -