এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার তাণ্ডব অব্যাহত, সংক্রমণের শীর্ষে কোন রাজ্য? কি সাবধানতা গ্রহণ করা হচ্ছে?

করোনার তাণ্ডব অব্যাহত, সংক্রমণের শীর্ষে কোন রাজ্য? কি সাবধানতা গ্রহণ করা হচ্ছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনার পর এবার দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ওমিক্রনের তান্ডব। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাগাতার বেড়ে চলেছে। তবে করোনা আক্রান্তের নিরিখে আবার শীর্ষে দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। এই দুই রাজ্যে ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। দৈনিক সংক্রমণ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে গতকালের থেকে আজ এক লাফে সংক্রমণ 86 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন 923 জন। খুব স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা বাড়ছে। একই সাথে চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে মুম্বাইতে দেখা যাচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় আড়াই হাজারের বেশি। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এবার করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়েছে। দিল্লিতে ইতিমধ্যেই ওমিক্রণের কারনে কড়া বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে। জারি হয়েছে হলুদ সর্তকতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ, জিম, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল। একই সাথে চলছে রাত 10 টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলছে নাইট কার্ফু। অল্টারনেট পদ্ধতিতে দোকান বাজার খুলবে বলে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার।

তবে সকাল 10 টা থেকে সন্ধ্যা 8 টা পর্যন্ত দোকান বাজার খোলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। বিয়ে বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে সর্বাধিক কুড়ি জন একসাথে হতে পারবেন। দিল্লিতে মেট্রোর যাত্রীদের সংখ্যা অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রেও ইতিমধ্যেই নতুন করে কুড়ি জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তড়িঘড়ি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মহারাষ্ট্রেও প্রকাশ্যে জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। মুম্বাই পুরসভার হাসপাতালে পরিকাঠামো বাড়ানোর চিন্তাভাবনা চলছে। পাশাপাশি চিকিৎসা এবং অক্সিজেন সরবরাহ সচল রাখার কথা বলা হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে সাধারণ জনগণকে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করার আবেদন করা হয়েছে। রাত ন’টা থেকে সকাল ছটা অব্দি ভিড়ভাট্টা, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আবার ফিরে এসেছে সোশ্যাল ডিসটেন্স।

সব মিলিয়ে দেশজুড়ে নতুন করে আবার শুরু হল করোনা আতঙ্ক। কিছুদিন যাবত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার পর যেভাবে ঝড়ের গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ইতিমধ্যেই চিন্তা বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠকে একের পর এক নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আপাতত পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যগুলি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!