বড় ধাক্কা মমতার স্বপ্নে! করোনার থাবায় বাংলার বুকে থমকে রয়েছে উন্নয়ন! অসহায় অবস্থা প্রশাসনের! অন্যান্য পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য September 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লকডাউনে কোনোভাবেই উন্নয়নে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা যে ঘটছে না একথা বলা যায় না। কারণ সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা পরিষদের অর্থের অভাব থেকে শুরু করে জরুরী কাজ ছাড়া সমস্ত প্রকল্পই থমকে গিয়েছে বলে জানা গেছে। তাই সম্প্রতি সেই টাকা ফেরত পেতে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা যায়। সাধারণত চলতি বছরের নতুন নিয়ম অনুযায়ী সেই আর্থিক বছরের টাকা যদি সেই আর্থিক বছরে খরচ করা না যায়, তবে তা ফেরত দিয়ে দিতে হয়। তারপর প্রয়োজন অনুসারে নতুন করে টাকা বরাদ্দ হলে সেই টাকা খরচ করা হয়। এক্ষেত্রে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট আর্থিক বছরের সেই টাকা খরচ করতে না পারায়, পরবর্তী বছর তা খরচ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এই নতুন নিয়মের পরেও পুনরায় টাকা বরাদ্দের ক্ষেত্রে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় বকেয়া টাকা ফেরত না দিতে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের অনুমোদন চেয়ে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগে দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে কয়েক মাসের মধ্যেই অনুমোদন পাওয়া গেলেও বর্তমান পরিস্থিতে সেই অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানা যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পুরুলিয়া জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে আটকে রয়েছে কুড়ি কোটি টাকা, যার মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্পের টাকা আর্থিক বছরের জানুয়ারি মাসে এসে গেছে। কিন্তু এই তিন মাসের মধ্যে দরপত্র আহ্বান বা অন্যান্য কাজ শেষ করে সেই অর্থ খরচ করা সম্ভব হয়নি। কারণ করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘ লকডাউনের ফলে এই কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে আটকে থাকা প্রকল্প গুলির মধ্যে চতুর্থ অর্থ কমিশন, রাস্তার জন্য স্টেট ফান্ড এবং তৃতীয় অর্থ কমিশনের পরিকল্পনা আটকে রয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও এই কাজগুলি অনেক আগেই সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হবে না বলেই জানা গেছে। অন্যদিকে চলতি আর্থিক বছর শেষ করলেও সেই কাজ রূপায়ণকারী সংস্থাগুলি কোন টাকা পাচ্ছে না বলেই অভিযোগ এনেছে। তাই জেলা পরিষদ থেকেই জানানো হয়েছে আপাতত কাজ মাঝপথে বন্ধ রাখতে তারা বাধ্য হয়েছেন। টাকা না পেলে তারা কাজ করতে কোনভাবেই সমর্থ হবেন না। তবে আটকে থাকা এই টাকা যত দ্রুত পাওয়া যায়, সেই আশ্বাসই দিয়েছেন পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগ। জানা গেছে, এই অনুমোদনের জন্য ওই বিভাগকে চিঠি লেখা হয়েছে। বিভাগের অর্থ দফতর থেকে অনুমোদন পেলেই আটকে থাকা টাকা জেলা পরিষদকে দিয়ে দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা। কিছুদিন আগে এই নিয়ে অর্থ স্থায়ী সমিতির সঙ্গে একটি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থ দফতর থেকে যাতে টাকা দ্রুত পুরুলিয়া জেলা পরিষদে পাঠানো হয়, সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কথা বলতে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাপতি জানান, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গত আর্থিক বছরের প্রকল্পের কাজ এখনো সম্পন্ন করা যায়নি। তাই ওই বছরের টাকা আটকে রয়েছে। এ বিষয়ে গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের সাহায্যের জন্য তাই তারা অনুমোদন করেছেন। তবে প্রয়োজনে মন্ত্রীর সঙ্গেও তারা কথা বলবেন সেই কথাও জানিয়েছেন তারা। তবে অর্থ দপ্তর অনুমোদন দিলে এই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে সেই আশাই রেখেছেন তাঁরা। আপনার মতামত জানান -