এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশেই তৈরী হচ্ছে করোনার টেস্ট কিট! দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে দ্রুত বাড়তে চলেছে টেস্টিং

দেশেই তৈরী হচ্ছে করোনার টেস্ট কিট! দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে দ্রুত বাড়তে চলেছে টেস্টিং

করোনার জেরে সম্প্রতি তীব্র বিতর্ক উঠেছে সারাদেশ জুড়ে টেস্ট করা নিয়ে। বিভিন্ন সূত্রে শোনা যাচ্ছে, ভারতে সর্বস্তরে করোনা টেস্ট হচ্ছেনা। যার ফলে ভারতে করোনা পরিসংখ্যান এখনো কমতির দিকে জনসংখ্যার নিরিখে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার কোন জবাব না দিলেও জানা যাচ্ছে, বেশ কিছুদিন আগেই চীন থেকে সাত লক্ষ র‍্যাপিড টেস্ট কিট আনার অর্ডার দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পরবর্তীকালে জানা যায় কার্গো বিমানের সমস্যার কারণে এই টেস্ট কিট সময়ের পরেও এসে পৌঁছায়নি দেশে।

অগত্যা জানা যাচ্ছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের গাইডলাইন অনুযায়ী এবার ভারতের দুই সংস্থা নয়াদিল্লির ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিক, কেরলের এইচএলএল লাইফকেয়ার লিমিটেড ও গুজরাটের ভক্সটার বায়ো লিমিটেড টেস্ট কিট বানাতে শুরু করলো। এই সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী 20 এপ্রিলের মধ্যে প্রথম দফার প্রায় এক লক্ষ র‍্যাপিড টেস্ট কিট পৌঁছে যাবে দেশের নানা প্রান্তে। সূত্রের খবর, গত 14 এপ্রিল থেকে কেরলের এইচএলএল লাইফকেয়ারে র‍্যাপিড টেস্ট কিট বানানো শুরু হয়েছে।

চেষ্টা করা হচ্ছে, প্রায় প্রত্যেক দিন 25 হাজার করে আরটিকে বানানোর। যদি সেভাবে বানানো যায়, তাহলে 20 এপ্রিলের মধ্যে অন্তত এক লাখ টেস্ট কিট তুলে দেওয়া যাবে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। এই প্রসঙ্গে সুরাটের ভক্সটার বায়ো সংস্থার সিইও খুশরু পাস্তাকিয়া জানিয়েছেন, ‘এক মাসে এক কোটি টেস্ট-কিট বানানোর ক্ষমতা আমাদের আছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন মেলার পরেই টেস্ট-কিট বানানো শুরু হয়ে গেছে। কিট বানানোর কাঁচামালও তৈরি হয় আমাদের সংস্থায়।’

এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ এড়াতে প্রথম দফার লকডাউন শেষে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। আর তার মধ্যেই দেশের 170 টি জেলা করোনার হটস্পট বলে চিহ্নিত হয়েছে। এই অবস্থায় হটস্পট এরিয়ার বাসিন্দাদের করোনা সংক্রমণ নির্ধারিত করার জন্য ফাস্ট-ট্র্যাক কিট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে আইসিএমআর। এতদিন পর্যন্ত আরটি-পিসিআর টেস্ট করা হয়েছে করোনার সংক্রমণ নির্ধারণ করার জন্য। তবে এই টেস্ট যেমন খরচসাপেক্ষ তেমন সময়সাপেক্ষও বটে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এবার আইসিএমআর এর পক্ষ থেকে অ্যান্টিবডি নির্ভর র‍্যাপিড টেস্ট-কিটের ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার চীন থেকে র‍্যাপিড টেস্ট কিট অর্ডার দেওয়ার পরেও না পাওয়ায় সরাসরি দেশীয় সংস্থাগুলির ওপর নির্ভর করতে শুরু করেছে। আইসিএমআর সূত্রে জানা যাচ্ছে, rt-pcr টেস্ট এর ফলে শরীরে করোনার জীবাণু বাসা বেঁধেছে কিনা তার নির্ভুল ছবি ধরা পড়ে। কিন্তু এই টেস্ট করতে গেলে দীর্ঘ সময় লাগছে এবং খরচাও লাগছে। তাই কম সময়ে করোনা টেস্ট করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ট্রেনিং টেস্টের দিকেই ঝুঁকছেন দেশের বৃহৎ চিকিৎসকমহল।

জানা যাচ্ছে, অ্যান্টিবডি স্ক্রিনিং টেস্ট করার ফলে করোনা আক্রান্তের শরীরে কি কি উপসর্গ রয়েছে, তার বিশ্লেষণ করেই জানা যাবে ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কিনা। যদি ব্যক্তি প্রথম দফায় করোনা আক্রান্ত না হয় রেপিড টেস্টের পর দশ দিন অপেক্ষা করতে হবে এবং এই দশদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে রোগীকে। দশ দিন পরে ওই রোগীকে rt-pcr টেস্ট করা যেতে পারে। সূত্রের খবর, সিপিসি ডায়াগনস্টিকসকে ‘কেমি লুমিনিসেন্স ইমিউনো অ্যাসে’ বা সিএলআইএ-অ্যান্টিবডি টেস্ট-কিটের জন্য আইসিএমআর এবং কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলের পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই টেস্ট র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি স্ক্রিনিং টেস্টের থেকে কিছুটা আলাদা। কিন্তু রোগ নির্ধারণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত দ্রুত।

এই টেষ্ট কিটের সাহায্যে এক ঘণ্টায় একশ স্যাম্পল পরীক্ষা করা যাবে বলে সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন। আপাতত ভারতে এই মুহূর্তে মারাত্মকভাবে করোনার ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে 12000। উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে এই মুহূর্তে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির সেভাবে উন্নতি দেখা যাচ্ছেনা। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল স্বাস্থ্য পরিকাঠামোসম্পন্ন ভারতবর্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ছাড়া এই মুহুর্তে আর কোন কিছু করার নেই। কারণ প্রতিষেধক আবিষ্কার হতে এখনো কত সময় লাগবে, তা সবার আজও অজানা। তাই এবার মনে করা হচ্ছে গণহারে টেস্ট করে করোনা সংক্রমণকে কিছুটা আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালানো হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!