এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা থেকে মিলতে পারে রেহাই, করতে পারেন এই কাজটি, উপকার ছাড়া অপকার হবে না! দাবি বিশেষজ্ঞমহলের

করোনা থেকে মিলতে পারে রেহাই, করতে পারেন এই কাজটি, উপকার ছাড়া অপকার হবে না! দাবি বিশেষজ্ঞমহলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমান সময়ে করোনা থেকে বাঁচতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তুলসী ও মধুর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। এটি রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক গুণ। একটি কাপের মধ্যে ভালো করে পরিষ্কার করে ধোওয়া চার থেকে পাঁচটি তুলসী পাতা নিন।তাতে এক টেবিল চামচ মধু দিন। মিশ্রণটি সকালে খালি পেটে খান। রোজ সকালে খান। উপকার ছাড়া অপকার হবে না এমনটাই যাচ্ছনে বিশেষজ্ঞরা।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – তুলসী-মধুর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি ও ভিটামিন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। প্রথমেই যে কথাটি বলার তা হল মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। শরীরের ভেতরে বাইরে কোনো রকম ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান প্রতিরোধকারী শক্তি গড়ে তোলে, যে কোনো রকম সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

এছাড়াও অনেক গুন্ রয়েছে মধু-তুলসীপাতার। জেনে নিন –

২. ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে – তুলসী-মধু ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।

৩. কাশি কমাতে – তুলসী – মধু একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান কাশি কমানোর জন্য। এটি শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমাতে কাজ করে।

৪. অ্যালার্জি কমায় – তুলসী ও মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান। এটি ত্বককে প্রশমিত করে এবং অ্যালার্জি কমায়।

৭. হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে – তুলসী ও মধু কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এটি হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে কাজ করে।

৮.ওজন কমাতে – নিয়মিত মধু খেলে পাকস্থলীতে বাড়তি গ্লুকোজ তৈরি হয়। এই গ্লুকোজ মস্তিষ্কের সুগার লেভেল বাড়িয়ে দেয়। তার ফলে মেদ কমানোর হরমোন নিঃসরণের জন্য বেশি মাত্রায় চাপ সৃষ্টি করে। ফলে মেদ কমে যায়।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

৯.অনিদ্রায় – অনিদ্রার জন্য খুব ভালো ওষুধ হল মধু। রাতে নিয়ম করে মধু খেলে গভীর ঘুম হয়।

১০.হজমের সমস্যা – মধুর মধ্যে থাকা উপাদানগুলি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে খাবার খাওয়ার পর বদ হজম, গলা বুক জ্বালা ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।

১১.অরুচি – অনেকেই বেশি খেতে পারেন না। একটু খেয়েই হাঁপিয়ে ওঠেন। বা খাবারে ইচ্ছাটাই থাকে না। অরুচিতে ভোগেন। সে ক্ষেত্রে মধু খেলে খাবরে অরুচি কমে। খাবার চাহিদা বাড়ে।

১২.বমিভাব – অনেকেই আছেন খাবার দেখলেই বা সামান্য খেলেই বমি বমি ভাব আসে। সেই সমস্যার সমাধানও করে মধু। বমিভাব কনায় মধু।

১৩.রক্ত ও রক্তনালী পরিষ্কার – মধু নিয়মিত খেলে রক্তনালীর বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। অর্থাৎ রক্তনালী পরিষ্কার থাকে। সেখানে দূষিত কোনো পদার্থ যা স্বাস্থ্য হানির কারণ তা জমতে পারে না। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।

১৪.রক্ত উৎপাদনে – রক্ত উৎপাদনকারী উপকরণ হল আয়রন। আর এই আয়রন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে মধুতে। ফলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা-সহ রক্তের ইত্যাদি উপাদানগুলি গড়ে তুলতে সাহায্য করে মধু।

১৫.দুর্বলতা দূর করতে – অনেকেই সারাক্ষণ ঝিমুনি বা দুর্বল অনুভব করেন। এই ঝিমুনি, ঘুম ঘুম বা দুর্বল ভাব কাটানোর জন্য ও সারাক্ষণ তরতাজা থাকতে নিয়মিত খেতে পারা যায় মধু।

১৬.সর্দি কাশি কমাতে – শিশুদের সর্দি কাশি ঠাণ্ডা লাগা কমাতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত মধু দেওয়া উচিত।

১৭. গলার স্বর যন্ত্রের জন্য – গলার স্বর যন্ত্রে বা স্বরনালীতে সংক্রমণ হলেও সেই ক্ষত দূর করতে নিয়ম মাফিক মধু সেবন করা যেতে পারে। তা ক্ষত নিরাময় করে। সংক্রমণ দূর করে।

১৮.হাঁপানি – মধুর নানান গুণাগুণগুলির মধ্যে একটি হল এটি হাঁপানি রোগ কমাতে সাহায্য করে। তাই এই রোগ থাকলে তা কমাতে হলে খাওয়া যেতে পারে মধু।

১৯.দুর্বলতা দূর করতে – অনেকেই সারাক্ষণ ঝিমুনি বা দুর্বল অনুভব করেন। এই ঝিমুনি, ঘুম ঘুম বা দুর্বল ভাব কাটানোর জন্য ও সারাক্ষণ তরতাজা থাকতে নিয়মিত খেতে পারা যায় মধু।

২০. ডায়রিয়া – মধু ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই যাঁদের আমাশা, ডায়রিয়া বা পেট খারাপের প্রবণতা আছে তাঁরা নিয়মিত মধু সেবন করতে পারেন।

 

তবে এর সাথে বাইরে না বের হওয়া, বার বার হাত ধোওয়া, মুখে মাস্ক লাগানো এছাড়া সামাজিক দূতত্ববীধি বজায় রাখতে হবে. জোর হলে ডাক্তার দেখেন। সাবধানে থাকুন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!