এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা থেকে কি শীঘ্রই মুক্তি? নয়া পরিসংখ্যানে আশার আলো দেখছে ভারত!

করোনা থেকে কি শীঘ্রই মুক্তি? নয়া পরিসংখ্যানে আশার আলো দেখছে ভারত!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গতবছর মার্চ মাস নাগাদ ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছিল ভয়াবহ মারন ভাইরাস করোনা। অতীতে নানা সময় নানা ভাইরাসের উপদ্রব হলেও, কার্যত গৃহবন্দি হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়নি। কিন্তু করোনা ভাইরাস কার্যত জনসমাগম, মানুষে, মানুষে সংস্পর্শ, এই সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিকের দিকে যেতে শুরু করেছিল, তখন আবার সেই ভাইরাস মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ঠিক এক বছর পরে আবার একইভাবে ভয়াবহরূপে ভারতবর্ষে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে।

দিনকে দিন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সকলের। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস নিয়েই কি আগামী দিনে ভারতবর্ষকে পথ চলতে হবে! সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কবে এই করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, তা নিয়ে নানা মহলে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে খুব শীঘ্রই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে, সেই ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। যা আশার আলো তৈরি করেছে দেশবাসীর মধ্যে।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ভারতবর্ষে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর দিল্লি এবং মুম্বইয়ে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছিল, তা এখন অনেকটাই নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। আর এই গ্রাফ স্বস্তি দিচ্ছে সেখানকার মানুষকে। অনেকেই বলছেন, দিল্লি এবং মুম্বইতে করোনা ভাইরাস যখন বাড়তে শুরু করে, তখন সেখানকার সরকার কড়া বিধিনিষেধ প্রয়োগের রাস্তায় হেঁটেছিল। যার উপকার এখন পেতে শুরু করেছে সেই রাজ্যগুলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মৃত্যুর হার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেলেও, আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। এক সময় মে মাসের প্রথমদিকে দিল্লিতে 18 হাজারের মত আক্রান্তের সংখ্যা থাকলেও, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে 10 হাজারের কাছাকাছি। স্বাভাবিক ভাবেই এই সংখ্যা যে সকলের কাছে যথেষ্ট আশার কারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাই সেই সংখ্যা এবং করোনা ভাইরাসের গ্রাফ নিম্নমুখী দেখে ধীরে ধীরে দ্বিতীয় ঢেউকে বিলীন করতে পারবে ভারতবর্ষ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, প্রথমবার করোনা ভাইরাসকে পরাজিত করার পর দ্বিতীয়বার আবার যে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি। কিন্তু সচেতনতা অবলম্বন না করার কারণেই ভারতবর্ষে এখন তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মৃত্যুলীলা, শ্মশানের সামনে একের পর এক শবদেহ মানবিক দিক থেকেও আঘাত করছে সাধারণ মানুষদের। আর এই পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে যতই কষ্ট হোক না কেন, অবিলম্বে করোনা ভাইরাসকে দমানোর জন্য সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সেই মত করে বিভিন্ন রাজ্য একগুচ্ছ বিধি-নিষেধ জারি করে আংশিক লকডাউন বা নাইট কার্ফুর মত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে প্রথম দিকে দিল্লি এবং মুম্বইতে ভয়াবহ ভাবে যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা করোনা ভাইরাসের বাড়তে শুরু করেছিল, তা এখন কমতে থাকায় আশার আলো তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে যে সমস্ত রাজ্যগুলো লকডাউন বা আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে, তারাও ভবিষ্যতে এর উপকার পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অর্থাৎ ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসকে দমানোর জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছিল, তা যে কাজে দিতে শুরু করেছে, তা বলাই যায়। তাই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার মাঝে নিম্নমুখী গ্রাফ দ্বিতীয় ঢেউ বিলীন হওয়ারই আশা যোগাতে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!