এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশবাসীর করোনা আতঙ্ক বাড়িয়ে দিলেন এক শ্রেণীর অতি উৎসাহী!

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশবাসীর করোনা আতঙ্ক বাড়িয়ে দিলেন এক শ্রেণীর অতি উৎসাহী!

বড় আশা করে একদিনের জন্য ভারতবাসীকে গৃহবন্দী করে রেখে করোনা চেনকে ভাঙতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর প্রধানমন্ত্রীর বার্তা অনুযায়ী রবিবার দেশজুড়ে জনতা কারফিউ চূড়ান্ত মাত্রায় সফল হয়েছিল। কিন্তু বিকেল পাঁচটা বাজতেই সেই কারফিউয়ের উদ্দেশ্য এবং তার সফলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। অনেকে রসিকতা করে বলছেন, বিয়ে বাড়ির সব খাবার ঠিকমত পরিবেশন হল। কিন্তু শেষে চাটনি দেওয়ার পর দেওয়া হল মাংস!

ঠিক এমনটাই হল গতকাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার বার্তাতে বলেছিলেন, 22 মার্চ সারাদিন জনতা কারফিউ পালন করার পর বিকেল পাঁচটায় যারা গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, তাদের সম্মান জানাতে কাঁসর, ঘন্টা, থালা, বাজাবেন। এক্ষেত্রে নিজের বাড়িতে থেকেই সকলকে এই কাজ করার আবেদন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার এই বার্তাকে অনেকেই অন্যভাবে গ্রহণ করেছে।

যার ফলে বিকেল পাঁচটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাঁসর, ঘন্টা নিয়ে প্রচুর মানুষ একসাথে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। ফলে প্রচুর মানুষ একসাথে রাস্তায় বেরোলেও নরেন্দ্র মোদির জনতা কার্ফু একমুহূর্তে ভেস্তে গেল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। কেননা বারবার প্রত্যেকে আবেদন জানাচ্ছেন যে, সকলে বাড়িতে থাকুন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কাঁসর, ঘন্টা নিয়ে যেভাবে সাধারণ মানুষ একসাথে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আনন্দ উদযাপন করলেন, তা নিঃসন্দেহে সেই ভাইরাসকে সংক্রমিত হওয়ার দিকেই এগিয়ে দিল বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। সকলেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন যারা গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার সঙ্গে জড়িত, যারা সাধারন মানুষকে পরিষেবা দিতে বাইরে ছিলেন, তাদের সম্মান জানানোর জন্যই নিজ বাড়ি থেকে কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে তাদের সম্মান জানাতে বলেছিলেন।

কিন্তু তা না করে কিছু মানুষ যেভাবে রাস্তায় বেরিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত হয়ে একত্রিত হলেন, তাতে প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা শুধু ধূলিসাৎ হল তাই নয়। সাথে সাথে জনতা কারফিউয়ের গোটা দিন গৃহবন্দী থেকেও, কাঁসরঘন্টা নিয়ে সকলে একসাথে পথে বেরোনোয় তা কার্যত ব্যর্থ হয়ে গেল।

ফলে যে সমস্ত মানুষ এই কাজ করেছেন, এখন তাদের প্রতি ক্ষোভে ফুঁসছে শুরু করেছেন অনেকেই। যার জেরে দিনের শেষে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রী ঠিক কাজ করেছেন। কিন্তু তার বার্তাকে যেভাবে অন্যভাবে ধরে অনেকেই রাস্তায় নামলেন, তাতে জনতা কারফিউয়ের সফলতা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!