এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা টীকা বাজারে এলে বাংলায় প্রথমেই পাবেন কারা? অবশেষে জমা পড়ল সেইসব ‘ভাগ্যবানদের’ তালিকা

করোনা টীকা বাজারে এলে বাংলায় প্রথমেই পাবেন কারা? অবশেষে জমা পড়ল সেইসব ‘ভাগ্যবানদের’ তালিকা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রথম থেকেই দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গেছেন। সাধারণ মানুষকে ক্রমাগত পরিষেবা দিয়ে গেছেন তাঁরা। এখনো করোনার ভ্যাকসিন আসার কথা শোনা যায়নি, কিন্তু তার মধ্যেই জানা যাচ্ছে এবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করার কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বাংলার বুকে করোনার টিকা আসলেই কারা পাবেন সে কথা স্পষ্ট হলো প্রথম দফায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলি থেকে ভ্যাকসিন প্রাপকদের নাম স্বাস্থ্য ভবনে জমা পড়তে শুরু করলো। শনিবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনে প্রায় 25 হাজারের বেশি নাম জমা পড়েছে।

মূলত কলকাতার সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলি এই নামের তালিকা জমা দিয়েছে। এই তালিকায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও নাম জমা পড়েছে ডাক্তারি পড়ুয়া এবং হাসপাতালে ডিউটি করা পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীদের। অর্থাৎ প্রথম সারিতে থেকে যারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের নাম থাকতে চলেছে এই তালিকায়। অন্যদিকে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাকি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নামের তালিকা চলে আসবে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি রাজ্যের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরি হতে চলেছে।

কেন্দ্রের নির্দেশ- প্রথম পর্বে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন পাবেন তবে রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মীসহ প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধারাই এই ভ্যাকসিন প্রাপকের তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানে থাকতে চলেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর রাজ্যের সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার কাছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম পাঠানোর প্রস্তাব দেয় বলে জানা গিয়েছে। সেই অনুযায়ী, গত শনিবার 31 অক্টোবর রাজ্যের বেশকিছু সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে রাজ্য থেকে প্রায় 25000 চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর নাম জমা পড়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগামী সপ্তাহে রাজ্যের যেসব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল বাকি রয়েছে নাম পাঠাতে, তাদেরগুলো পাঠানো হবে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যে জোরদারভাবে ভ্যাকসিন প্রাপকদের নামের তালিকা তৈরীর কাজ চলছে। কলকাতা পুলিশের যেসব কর্মী হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তাঁদের নামও এই তালিকায় থাকছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক বা নার্সের মতন হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান এর নামও এই তালিকায় থাকছে বলে খবর। তবে শুধুমাত্র করোনা যোদ্ধাদের নামই থাকছে এই তালিকায়। তাঁদের পরিবারের কারো নাম এই মুহূর্তে নথিভুক্ত করা হচ্ছেনা।

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সুপার ডক্টর সন্দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, “এমবিবিএস পাঠরত ছাত্র, শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স এবং সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী সহ প্রায় চার হাজার নাম ভ্যাকসিনের জন্য আমরা পাঠিয়েছি।” একইভাবে এনআরএস থেকেও সাড়ে পাঁচ হাজারের মতো নাম গিয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার রঘুনাথ মিশ্রর কথা থেকে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক-নার্স স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে প্রায় 7000 নাম পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনে। আরজিকর থেকে গেছে প্রায় 4000 নামের তালিকা। একইভাবে এম আর বাঙুর থেকে 700 এবং বেলেঘাটা আইডি থেকে 700 জনের নাম জমা পড়েছে।

প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ভারতে ভ্যাকসিন আসতে চলেছে? না হলে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কেন কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে? ভ্যাকসিনের অপেক্ষা যে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে, সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। অন্যদিকে করোনা যোদ্ধা হিসেবে ফ্রন্টলাইনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরাই যে অগ্রাধিকার পাবেন, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত সবাই। আপাতত বাংলায় প্রথম করোনার ভ্যাকসিন কারা পেতে চলেছেন, সে কথা স্পষ্ট। তালিকা তৈরির পর এখন অধীর অপেক্ষা শুধুমাত্র ভ্যাকসিনের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!