করোনা টীকা নিয়ে মোদী সরকারের নজিরবিহীন পদক্ষেপ? প্রত্যেক দেশবাসীর ভ্যাক্সিন পাওয়া নিশ্চিত? জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য October 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে করোনার ভ্যাকসিনের জন্য। কারণ করোনা সংক্রমণ দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, কিছুতেই যার লাগাম পরানো যাচ্ছে না। দেশের সমস্ত মানুষের কাছে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের নানা স্থানে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মত তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি ব্যবস্থার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বিষয়ে একটি বিশেষ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পালের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের জন্য একটি জাতীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ ব্যবস্থায় এসএমএস, কিউআর কোড, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ইত্যাদি যুক্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত আগামী বছরের শুরুতেই দেশে করোনা ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তার পূর্বেই ভ্যাকসিন মজুতকরণ ও সরবরাহ বিষয়ে বিশেষ পরিকল্পনা নিল কেন্দ্র সরকার। প্রসঙ্গত জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনস্থ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হলো ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক বা ‘ই-ভিন। যে প্লাটফর্মে করোনা ভ্যাকসিন প্রাপকদের তথ্যাবলী রাখা হবে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনস্ত এই প্ল্যাটফর্মে দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভিন্ন ভ্যাকসিন সরবরহের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ভ্যাকসিনের স্টক সম্পর্কে সমস্ত কিছু আপডেট এই প্লাটফর্মে পাওয়া যায়। তবে এখনো পর্যন্ত এই প্লাটফর্মে ভ্যাকসিন প্রাপকদের বিষয়ে কোনো তথ্য রাখা হয়নি। তবে, এবারে করোনার ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য রাখা হবে এই প্লাটফর্মে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রে জানা গেছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে দফায় দফায় করা হবে ভ্যাকসিন বিতরণের কাজ। নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতোই ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে বুথের মত ব্যবহার করা হবে বিভিন্ন স্কুলগুলিকে। জানা গেছে যে, প্রথমে পর্বে ৩ কোটি জনতা করোনার ভ্যাকসিন পাবেন। ৭০ লক্ষ চিকিৎসক ও চিকিত্সা কর্মীকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে, আবার সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করা ২ কোটি করোনা যোদ্ধারাও করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। এদিকে পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্যে দ্বিতীয় দফায় আরো ৩৭ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য সংসদের কাছে অনুমোদন নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত এ মাসের প্রথমদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সড়ক, প্রতিরক্ষা, জল সরবরাহ, নগর উন্নয়ন ইত্যাদির জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। আবার বিভিন্ন রাজ্যগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১২ হাজার কোটি টাকা ৫০ বছরের জন্য রাজ্যগুলিকে বিনাসুদে ঋণ দেবার অনুমোদন করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে তৃতীয় আর্থিক বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। আবার চলতি ২০২০-২১ সালের বাজেটে উন্নয়নের জন্য ৪,১৩ লক্ষ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল। তার অতিরিক্ত হলো এই ৩৭ হাজার কোটি টাকা। এভাবে দেশের নানা প্রান্তে করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। আপনার মতামত জানান -