এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা টিকাকরণের মাত্রা হ্রাস কি ভবিষ্যতে চরম বিপদ ডেকে আনছে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

করোনা টিকাকরণের মাত্রা হ্রাস কি ভবিষ্যতে চরম বিপদ ডেকে আনছে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টবিগত বেশ কয়েকদিন যাবৎ দেশজুড়ে চরম আকার ধারণ করেছে করোনা পরিস্থিতি। তার মধ্যে পাল্লা দিয়ে যোগ হয়েছে অক্সিজেন, ওষুধের অভাব। অগুনতি মানুষের প্রাণ যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন রাজ্যে করোনার প্রভাব মারাত্মক আকারে দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। তবে আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে, দেশজুড়ে করোনার প্রভাব কমতে শুরু করেছে। এই খবরে সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও বিশেষজ্ঞরা কিন্তু চরম বিপদের আশঙ্কা করছেন। তাঁদের মতে, টিকাকরণের মন্থর গতি এবং কম সংখ্যক পরীক্ষার কারণে আচমকাই আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে দেশে এবং এই গাফিলতির কারণে চরম মাশুল গুনতে হতে পারে দেশকে।

যেকোনো মুহূর্তে করোনা তৃতীয় ঢেউ দেশজুড়ে আছড়ে পড়তে পারে, যেখানে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। গত মাসের তুলনায় বিগত চার সপ্তাহের টিকাকরণের হারে পতন হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 32.7 লাখ টিকাকরণ সরাসরি 6.9 লাখে নেমে এসেছে বর্তমানে। প্রতিদিন 1.8 মিলিয়ন অর্থাৎ 10.8 লাখ মানুষ টিকা পান। যে হারে টিকাকরণ চলছে, তাতে দেশের মোট জনসংখ্যার 80% এর টিকাকরণের জন্য তিন বছর লেগে যাবে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, মোদি সরকার ডিসেম্বরের শেষ ভাগের মধ্যে প্রায় 10 কোটি মানুষকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছে। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গেলে যে প্রতিদিন অন্তত 80.95 লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু দেশজুড়ে যেভাবে টিকার অভাব দেখা দিয়েছে, তাতে সংকটে পড়েছে রাজ্যগুলি। মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যে 18 ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা কোনরকম টিকা পাননি। যদিও রাজ্যে রাশিয়ার ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে কিন্তু তাও দেশবাসীকে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। তবে দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টিকা উৎপাদনে গতি আনার চেষ্টা হচ্ছে। আগামী জুলাই-আগস্ট মাস থেকে অতিরিক্ত টিকা উৎপাদন করা যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

অন্যদিকে করোনা পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, প্রতিদিন প্রায় 75 শতাংশ হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত পয়লা এপ্রিল থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত 531 % হারে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সাথে কমেছে করোনা পরীক্ষার হার। দেশে প্রতিদিন 33 লক্ষ করোনা পরীক্ষার ক্ষমতা রাখলেও দেখা যাচ্ছে, গড়ে 18 লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। অর্থাৎ 45% পরীক্ষা হচ্ছে না। সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ আগামী দিনে উপর্যুপরি বাড়তে চলেছে। আর তাতে মৃত্যুর হারও যে ক্রমাগত বেড়েই চলবে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত টিকার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, সে দিকেই নজর সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!