এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট বিধায়কের “দায়িত্বজ্ঞানহীনতায়” ঘরে ঢুকে গেল পুরো তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব? জল্পনা দলে

হেভিওয়েট বিধায়কের “দায়িত্বজ্ঞানহীনতায়” ঘরে ঢুকে গেল পুরো তৃনমূলের জেলা নেতৃত্ব? জল্পনা দলে

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ববিধিকে মান্যতা দিয়ে এবার তৃণমূলের ধর্মতলার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হল না। কালীঘাট থেকে ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে প্রতিটি নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য দিতে যাওয়ার আগে প্রত্যেকে নিজ নিজ এলাকায় শহীদদের প্রতি সম্মান জানাবেন‌। সেই মত করে প্রতিটি বিধানসভা এবং বুথস্তরে ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে শরীরে করোনা ভাইরাস থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে এলাকায় একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় এখন তৃণমূল বিধায়কের দায়িত্ব নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে, গত 15 তারিখ জাঙ্গিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর করোনা রয়েছে কিনা, সেই ব্যাপারে পরীক্ষা করা হয়। আর সেই রিপোর্ট আসে একুশে জুলাই।

যেখানে দেখা যায়, স্নেহাশিসবাবু সহ তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য করোনা আক্রান্ত। কিন্তু একুশে জুলাই তিনি স্থানীয় স্তরের সভায় যোগ দেওয়ার আগে তার তো খুব ভালোমত জানা ছিল যে, তার করোনা রিপোর্ট করতে দেওয়া আছে। সেক্ষেত্রে উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি এই সভায় যোগ দিলেন এবং কেন সেখানে উপস্থিত বাকি নেতৃত্বদের বিড়ম্বনা বাড়ালেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, এদিন স্নেহাশিসবাবু যে সভায় যোগ দিয়েছিলেন, সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব, জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর যখন করোনা পজেটিভ রিপোর্ট, ঠিক তখনই তিনি একুশে জুলাইয়ের সভায় উপস্থিত থাকায় গোটা হুগলি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এখন কার্যত কোয়ারেন্টাইনে চলে যাচ্ছেন।

কেননা স্নেহাশিসবাবুর শরীরে থাকা ভাইরাস কার সংস্পর্শে এসেছে, তা কেউ জানে না। সেদিক থেকে নিজের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া সত্ত্বেও, কেন তিনি এভাবে সভায় আসলেন, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল বিধায়কের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতা তৃণমূলকে এই জেলায় ক্রমশ বিড়ম্বনায় ফেলবে। কেননা মানুষ যেমন এর ফলে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করবেন, ঠিক তেমনই বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনাকে অস্ত্র করে ময়দানে নামতে পারে। এমনিতেই গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি জেলায় তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না।

সেদিক থেকে দুর্যোগের সময় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া সত্ত্বেও, যেভাবে তৃণমূল বিধায়ক উপস্থিত থাকলেন এবং তার ফলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইনে চলে যেতে হল, তাতে ফাঁকা ময়দানে বিজেপি বাজিমাত করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!