প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভ্যাকসিন দূর অস্ত, সেখানে করোনার নতুন স্ট্রেন বি ১১৭-এর আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে নতুন হয়রানি, আশঙ্কা। ব্রিটেনের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন লন্ডন এবং দক্ষিণ ইংল্যান্ডে কড়া লকডাউন পালনের নির্দেশ জারি করেছে বলেও জানা গেছে।

অন্যদিকে ব্রিটেনের তরফ থেকেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বিমান সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে বলেই জানা গেছে। ইতিমধ্যে ফ্রান্সও মার্চ মাস পর্যন্ত কড়া নিয়ম পালনের কথা জারি করে দিয়েছে। সেখানে এরই মধ্যে ভারতেও নিম্নমুখী সংক্রমণকে পিছনে ফেলে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের পারদ। এরই মধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে আতঙ্ক খানিক কমেছে বলেই মনে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে যথাক্রমে বুধবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ১৬২৮জন, ১৫৯০জন,১৫৪১জন,১২৫৩জন, ১৪৩৫জন, এবং ১৪৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেখতে গেলে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। একমাত্র শনিবার তা অনেকইটাই কমে গিয়েছিল। অন্যদিকে, এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭৪০ জন। যা থেকে এটা বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্যে সুস্থতার হারও বেড়েছে।

তবে এদের মধ্যে সংক্রমণের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। তারপর কলকাতা। যদিও এই দুই জেলা বহুদিন থেকেই একে অপরকে টেক্কা দিয়ে করোনা আক্রান্ত তালিকায় প্রথমে থাকার চেষ্টা করছে বলে দেখা গেছে। সেইসঙ্গে, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এদিনও সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হিসেবে প্রথমে আছে উত্তর ২৪ পরগনার নাম। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৩১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে এরই মধ্যে খানিকটা বেড়েছে সুস্থতার হার। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৫.৭৩% । সারা রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৭৪৪৩ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় ২৯ জনের মৃত্যুর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,৫৯৮ জন।

তবে এর মধ্যে এদিন যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্য জুড়ে, তাঁদের মধ্যে ১৩ জন কলকাতার। এখনও পর্যন্ত কলকাতায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯২৯ জনের। মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে ২৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন সেখানে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এরপর রয়েছে হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নাম। সেখানে যথাক্রমে মোট ৯৯৩ জন ও ৬৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। সেইসঙ্গে এদিন সারা রাজ্যে ৩৮, ১১৮ টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার ৩০, ৬৪১ টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করার ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৬৯, ৬৫, ৭২৬ টি স্যাম্পেল পরীক্ষা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরদুয়ারে ৮জন, কোচবিহারে ২৮জন, দার্জিলিং ৪৫জন, কালিম্পং ৮জন , জলপাইগুড়িতে ৩৫জন, উত্তর দিনাজপুরে ১১জন, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩জন, মালদহে ২৪জন, মুর্শিদাবাদে ২৫জন, নদিয়াতে ৭২জন, বীরভূমে ৩১জন, পুরুলিয়াতে ২২জন, বাঁকুড়ায় ৩৩জন, ঝাড়গ্রামে ৭জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪৫জন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৩জন, পূর্ব বর্ধমানে ৩৩জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৬৫জন, হাওড়াতে ৮৫জন, হুগলিতে ৭৮জন, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩৮ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

ফলত রাজ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫, ৪৭, ৪৪৩ জন। স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত হেলথ বুলেটিনে অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১,৪৩৫ জন। ফলে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫, ৪৭, ৪৪৩ জন। যাদের মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা হল ১৩, ৭৭৪ জন। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫, ২৪, ০৭১ জন। এছাড়া, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আপাতত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১,১৩৩,৮১৯জন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১, ৭৭১,৪৬৭ জনের। অন্যদিকে, করোনা জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৫৬,৭৬৯,৭৩০ জন।