এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হলেও, তা বেশিরভাগ মানুষ পাবেন না! একি ভয়ঙ্কর কথা শোনাল WHO?

করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হলেও, তা বেশিরভাগ মানুষ পাবেন না! একি ভয়ঙ্কর কথা শোনাল WHO?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্হিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। প্রতিষেধক ছাড়া যে বাঁচার উপায় নেই, সেকথা এতদিনে স্পষ্ট। যদিও বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ইতিমধ্যে করোনার প্রতিষেধক বানানোর বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে, যে তাঁরা ইতিমধ্যে করোনার প্রতিষেধক স্ফুৎনিক আবিষ্কার করে ফেলেছে। যদিও তা বিশ্ববাজারে কবে এসে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারছে না কেউই। তবে ক্রমশ করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার আশা যে চওড়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু তার মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শোনালো নতুন আশঙ্কার কথা‌। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে করোনার প্রতিষেধক যাতে বিশ্বের সবার কাজে লাগে, সেদিকে নজর দিতে হবে। সেই পরিমাণ ডোজ বানাতে হবে প্রতিষেধকের। আর তার জন্য প্রয়োজন বিশাল অর্থ। হু এর দাবি, এই বিশাল অর্থের 10% ও এখনো জোগাড় হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, গোটা বিশ্বের প্রত্যেক অধিবাসীর জন্য যদি করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে হয়, তাহলে খরচ হবে অন্তত দশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।

এই খরচ তোলার আশায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছেই অনুদান চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুদান হিসেবে যা এসেছে তাতে টাকা উঠেনি বলে জানা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সোমবার হু’র ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস ভার্চুয়ালি জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে অনুদানের আবেদন করেছিল সারা বিশ্বের কাছে, তাতে যে অর্থ উঠেছে তাতে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তৈরীর খরচ উঠেনি। এখনো পর্যন্ত জি-20 র অন্তর্গত দেশগুলি করোনা মোকাবিলায় যত অর্থ ব্যয় করেছে, সে তুলনায় 10 হাজার কোটি মার্কিন ডলার যথেষ্ট নগণ্য বলে জানাচ্ছেন জেনারেল ট্রেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, ভ্যাকসিন তৈরির খরচ সমস্ত দেশের সরকারের করার কথা। তাহলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এত চিন্তা করা হচ্ছে কেন? কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা সমহারে বন্টন হওয়া ভীষণভাবে জরুরী। বিত্তবান দেশগুলি যদি করোনার ভ্যাকসিন কুক্ষিগত করে রাখে টাকার জোরে, তাহলে আসল কাজই বাধাপ্রাপ্ত হবে। ইতি মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি নতুন আন্তর্জাতিক জোট তৈরি করেছে যার নাম দিয়েছে কোভাক্স।

এই কোভাক্সের আন্ডারে ইতিমধ্যে এসেছে 75 টি দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি, বিশ্বের তথাকথিত শক্তিধর দেশগুলির এখনো এই জোটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এই জোটের মাধ্যমেই আপাতত টাকা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু হু যাই বলুক না কেন, করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বের অন্যতম দেশগুলি একযোগে উঠে পড়ে লেগেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটি দেশই চাইবে, তাঁর দেশ আগে সুস্থ হয়ে উঠুক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, এই মুহুর্তে চূড়ান্ত প্রতিযোগীতা বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলির মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!