এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনা ভ্যাক্সিন বাজারে এলে প্রথমে পাবেন কারা? বাংলায় সামনে এল বড়সড় তথ্য, জানুন বিস্তারে

করোনা ভ্যাক্সিন বাজারে এলে প্রথমে পাবেন কারা? বাংলায় সামনে এল বড়সড় তথ্য, জানুন বিস্তারে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিকে বাগে আনতে দীর্ঘদিন ধরেই ভ্যাকসিন নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এই মুহূর্তে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা নিয়ে তোড়জোড় চালাচ্ছে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কথা। ভারতেও পাল্লা দিয়ে চলছে করোনার ভ্যাকসিন তৈরীর কাজ, যা একের পর এক ধাপ পেরিয়ে আপাতত শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যেই এবার বাংলায় নতুন খবর। করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আসার সাথে সাথেই কারা এই ভ্যাকসিন পাবেন, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই জল্পনা চলছে। আর এবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে পুরুলিয়ার স্বাস্থ্যকর্মীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন দুর্গা পুজোর সময় মাস্ক পড়া থেকে শুরু করে করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিধি-নিষেধ মেনে চলার ব্যাপারে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে রাজ্যজুড়ে পুজোর সময় যে প্রবল উদ্দীপনা চোখে পড়েছে মানুষের মধ্যে, তাতে সংক্রমণ যে আবার দ্বিগুণ হারে বেড়ে উঠবে সে ব্যাপারেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে ভ্যাকসিন এলে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা অর্থাৎ করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে প্রথম সারিতে যারা রয়েছেন, তাঁরা যাতে আগে পান সেই অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। ভারতে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সংক্রান্ত শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে বলে শোনা যাচ্ছে।

এই অবস্থায় দুর্গাপূজো শেষ হতেই পুরুলিয়া জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য চলছে তালিকা তৈরির কাজ। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে একটি নির্দেশিকা এসেছে, যেখানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল, নার্সিংহোম, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীর তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে পয়লা নভেম্বর এর মধ্যে। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এখনো রাজ্যে 3 লক্ষ 53 হাজার 822 জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে 3 লক্ষ 10 হাজার 86 জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন শুধুমাত্র পুরুলিয়া জেলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন 4983 জন, তার মধ্যে 4338 জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছে। আপাতত আক্রান্ত 619 জন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের সুপার সুকোমল বিষয়ী জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশিকা এসেছে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি ডাটাবেস তৈরী করার জন্য। যাতে ভ্যাকসিন এলে দ্রুত তা স্বাস্থ্য কর্মীদের দেওয়া সম্ভব হয় তালিকা অনুযায়ী। অন্যদিকে পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরুণ চক্রবর্তী জানান, এখনো পর্যন্ত পুরুলিয়ায় 36 হাজার 255 জনের আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে এবং তাতে আশাব্যঞ্জক ভাবে জানা যাচ্ছে, করোনার সংক্রমণ কমছে। তবে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি-সরকারি সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম যুক্ত থাকতে হবে এই তালিকায় বলে নির্দেশ এসেছে।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 30 শে অক্টোবর এ বিষয়ে বিস্তারিত সবকিছু জানা যাবে। তবে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জন স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ, পুরুলিয়া পুরসভার প্রশাসককে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা যায়, এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই তাঁদের কাছে। অন্যদিকে বাংলার প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা কেন্দ্র করে সংক্রমণ বেড়ে ওঠার আশঙ্কা আগেই ছিল। যদিও সেই আশঙ্কাকে আটকানোর জন্য রাজ্য সরকার এবং কলকাতা হাইকোর্ট বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছেন।

কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে মানুষ উৎসাহ নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন মাস্ক ছাড়া, করোনাবিধি শিকেয় তুলে, তাতে করোনার সংক্রমণ বেড়ে ওঠার সম্ভাবনাই বেশি দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে আশা করা হচ্ছে, ভ্যাকসিন এলে শুধুমাত্র পুরুলিয়ায় নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও প্রথম সেই ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার পেতে চলেছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই অনুযায়ী তালিকাও প্রস্তুত হবে। এখন শুধুমাত্র অপেক্ষা, কবে করোনার ভ্যাকসিন আমজনতার নাগালে আসে, কবে মেলে করোনা থেকে মুক্তি!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!