প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে লুটের অভিযোগ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এতদিন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অন্যান্য ইস্যুতে সরব হতে দেখা যাচ্ছিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন শুরু হতে না হতেই লুট করা হচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রীতিমত শাসকদলের ঘুম উড়িয়ে দিলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, শনিবার করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের পর এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টুইটারে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি বিনা পয়সায় করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে থেকে যারা কাজ করেছেন, তাদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন পাঠিয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল বিধায়ক ও গুন্ডারা ভ্যাকসিন জোর করে নিয়ে নিচ্ছে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, মোদীজি রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিন পাঠিয়েছেন। লজ্জা মমতাজি।”

একাংশের মতে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রথম দিনেই রাজ্যে বেশ কিছু চিত্র সামনে এসেছে। যেখানে একাধিক তৃণমূল বিধায়ক সেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যেখানে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা, সেখানে কেন জনপ্রতিনিধিরা নেবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। আর এই পরিস্থিতিতে টুইট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই করোনা ভাইরাস লুটের অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সকলের কাছে নজরের বিষয়। কেননা দীর্ঘদিন এই মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কবে ভ্যাকসিন বের হবে, তা নিয়ে গুঞ্জনের শেষ ছিল না। অবশেষে সেই ভ্যাকসিন বের হয়েছে। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের তা প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু তার মাঝেই যেভাবে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের তা গ্রহণ করতে দেখা গেছে, তা নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

তাই এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে সেই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন লুট করার অভিযোগ তুলে সরব হলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যা নিঃসন্দেহে শাসক দলের ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলে দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।