এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনাকে সহজেই কাবু করতে বড়সড় খোঁজ বিজ্ঞানীদের! অবশেষে কি অতিমারী থেকে মিলতে চলেছে স্বস্তি?

করোনাকে সহজেই কাবু করতে বড়সড় খোঁজ বিজ্ঞানীদের! অবশেষে কি অতিমারী থেকে মিলতে চলেছে স্বস্তি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে, বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের জোর আরো দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারা বিশ্বের বুকে নভেল করোনা ভাইরাস এখন চরম আতঙ্কের নাম। বর্তমানে যেভাবে রেকর্ড হরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিজ্ঞানী থেকে গবেষকরা। অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় মৃত্যুর হার। এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে বিশ্ববাসীকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

বিশ্বের বিভিন্ন কোণে এই মুহূর্তে চলছে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করার চরম লড়াই। যদিও এখনো পর্যন্ত প্রতিষেধক আবিষ্কারের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা কোন আশার কথা শোনাতে পারেনি। তবে এবার করোনা সংক্রমণকে আটকানোর জন্য নতুন আবিষ্কারের খবরে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি এবার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন করোনার শক্তি নাশক একটি অ্যান্টিবডির এবং এই অ্যান্টিবডি মিলছে লামা নামক একটি প্রাণীর দেহকোষ থেকে।

এই অ্যান্টিবডির আবিষ্কার যে করোনার যুদ্ধে নতুন অস্ত্র হিসেবে মূল্যায়ন হবে সে কথা নিশ্চিত। সম্প্রতি নেচার স্ট্রাকচারাল এন্ড মলিকুলার বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি স্টাডিতে বলা হয়েছে, লামার শরীর থেকে যে অ্যান্টিবডি আবিষ্কৃত হয়েছে, ন্যনোবডি নামের সেই অ্যান্টিবডি করোনা ভাইরাসকে মানব দেহে সংক্রমণ ছড়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। পরীক্ষাগারে দেখা গেছে, এই অ্যান্টিবডির মধ্যে অবস্থিত অ্যাসিটাইলকোলিন 2 রিসেপটর এর সঙ্গে সার্স কভ টু ভাইরাসের যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে।

যার ফলে মানবদেহে করোনার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে পড়ছে। এর আগেও করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের দেহে তৈরি হওয়া করোনার অ্যান্টিবডি সংগ্রহ করে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে কিছু সাফল্য আসলেও বেশিরভাগ জায়গায় এই অ্যান্টিবডি করোনার বিরুদ্ধে কাজ করে উঠতে পারেনি। তবে নতুন যে ন্যানোবডি আবিষ্কার হয়েছে, তা কিন্তু আগামী দিনে করোনা চিকিৎসায় সাফল্য আনতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যাচ্ছে, লামার দেহে আবিষ্কৃত এই অ্যান্টিবডি রীতিমত আটকে দিচ্ছে করোনার ভাইরাসকে। যে কারণে কোষের প্রোটিনের সঙ্গে করোনার জীবাণুর কোনভাবেই যোগাযোগ হচ্ছে না এবং তার ফলে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারছেনা। এই মুহূর্তে যেভাবে করোনার ভ্যাকসিন এবং ওষুধ আবিষ্কারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বিশ্বের সবকটি দেশ, সেখানে এই নতুন আবিষ্কার আশা জাগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নতুন আবিষ্কৃত অ্যান্টিবডির প্রসঙ্গে গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানুষের দেহে এবং স্তন্যপায়ী পশুদের দেহে দু’ধরনের অ্যান্টিবডি থাকে। একটি ভারী এবং একটি হালকা।

কিন্তু লামার দেহে যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে সেটি সিঙ্গল হেভি চেইন অ্যান্টিবডির ধরন হিসেবে স্বীকৃত। যার নাম বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় ন্যানোবডি বলে জানা যাচ্ছে। এই ন্যানোবডি হচ্ছে অত্যন্ত ছোট এবং খুব সহজেই বিকল্প অ্যান্টিবডি হিসেবে কাজ করে। পরীক্ষাকেন্দ্রে এই বিকল্প অ্যান্টিবডিকে করোনার বিরুদ্ধে কাজে নামিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর সেখানেই চোখে পড়ে দু’ধরনের ন্যানোবডি করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সফলভাবে লড়াই করছে।

মনে হচ্ছে, আগামী দিনে এই অ্যান্টিবডি করোনা আক্রান্ত যেসব রোগী সংকটাপন্ন, তাঁদের দেহে একাই কাজ করতে পারবে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, এই অ্যান্টিবডি মানব শরীরে প্রয়োগ করলে শরীরের ভেতরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে নিজস্ব তার সাথে মিলে গিয়ে আরো জোরদার লড়াই করবে করোনার বিরুদ্ধে। আপাতত এই আবিষ্কারের সফল প্রয়োগের দিকেই তাকিয়ে এখন বিশ্ববাসী। অন্যদিকে এতদিন ধরে হন্যে হয়ে করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টা চলছিল বিশ্বজুড়ে।

তবে এবার করোনার হাতিয়ার হিসাবে যেভাবে ন্যানোবডির নাম সামনে আসলো, তাতে আগামী দিনে করোনার লড়াই অনেকটা সহজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এখনো পর্যন্ত ন্যানোবডি পরীক্ষাস্তরে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের আশা, খুব শীঘ্রই এটি সাধারণ মানুষের জন্য সফলভাবে প্রয়োগ করা যাবে। আর তা করার জন্য এই মুহূর্তে বিজ্ঞানীরা ও গবেষকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!