এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা টিকা বাজারে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা? সংরক্ষন থেকে বিতরণ নিয়ে এগুচ্ছে পদক্ষেপ কেন্দ্রের?

করোনা টিকা বাজারে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা? সংরক্ষন থেকে বিতরণ নিয়ে এগুচ্ছে পদক্ষেপ কেন্দ্রের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো শোনাতে দেখা গিয়েছিল হু এর ডিরেক্টরকে। তাঁর কথায় চলতি বছরের শেষের দিকেই হয়ত করোনা ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে জানাও গিয়েছিল। অতিমারী সংক্রান্ত এগজিকিউটিভ বোর্ডের সঙ্গে দু’দিন ব্যাপী বৈঠক শেষেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয় হু এর তরফ থেকে। বর্তমানে হুয়ের তত্ত্বাবধানে ন’টি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে তারা ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাকসিনের প্রায় ২০০ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলেও জানিয়েছে। শুধু তাই নয় গোটা বিশ্বেই এই ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে সংস্থার তরফ থেকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান পরিস্থিতি লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখনও পর্যন্ত করোনায় ১০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। তাই এখনই ব্যবস্থা না নিলে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ লক্ষ পর্যন্ত হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে, যা কিনা সত্যিই ভয়াবহ। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় কি? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এর বিরুদ্ধে বিশ্বের সব দেশকে একযোগে লড়াই করতে হবে। তবে এর সঙ্গেই আশার আলো দেখিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ। করোনার টিকা কবে পাওয়া যাবে সে নিয়ে হুর মন্তব্যের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন যে, আগামী বছরের শুরুর দিকেই করোনা টিকার বিতরণ শুরু হতে পারে। আর তাই রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে গাইডলাইন তৈরি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে টিকার সংরক্ষণ ও বিতরণের কর্মসূচী নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এক্ষেত্রে তাঁর মতে, সবার আগে দরকার টিকার সংরক্ষণ। সেই টিকা দেশের হোক বা বিদেশের, ভ্যাকসিনের ভায়াল সবচেয়ে আগে কোল্ড স্টোরেজে রাখাটাই প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। আর যদি এয়ার ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে টিকা আসে, তবে সেক্ষেত্রে ট্রান্সপোর্টের পরে টিকার সংরক্ষণ না হলে ডোজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা থেকে যায়। তাই আগে সংরক্ষণ প্রয়োজন। তবে এরপর কী পরিমাণে টিকার ডোজ রাজ্যগুলিতে পাঠানো হবে, তা ঠিক করা হবে বলে জানা যায়। তার জন্য ইতিমধ্যেই গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কথায়, অক্টোবরের পর থেকেই টিকার বিতরণের যাবতীয় প্রকল্প ঠিক করা হবে।

অন্যদিকে, করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভারত বায়োটেকের টিকারও তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল শুরু হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এরসঙ্গে টিকার গুণমান বাড়ানোর জন্য বিদেশ থেকে নতুন অ্যাডজুভ্যান্ট আনানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এরই সঙ্গে জাইদাস ক্যাডিলার টিকার ট্রায়ালও চলছে। তাই সব মিলিয়ে একুশ সালের শুরুর দিকেই টিকা বাজারে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সমগ্র জানা গেছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জানিয়েছেন যে টিকার কোল্ড স্টোরেজের জন্য সব রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিকার ডোজ চলে এলে তা বিতরণের জন্য কর্মসূচীও ঠিক করা হবে। ল্যাবরেটরি থেকে টিকা কীভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হবে, অথবা টিকার সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য দ্রুত পরিকল্পনা কিভাবে ঠিক করার যায়, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানানোর জন্য আগামী ১৫ই অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যগুলিকে সময় দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন আগেই বলে দিয়েছেন যে, টিকা এলে সবচেয়ে আগে তিনিই ডোজ নেবেন। সুরক্ষার ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে তবেই টিকার বিতরণ শুরু হবে। বিদেশ থেকে যে টিকার ভায়াল আসবে তারও পরীক্ষানিরীক্ষা করেই দেশের বাজারে ছাড়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এর মধ্যে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে টিকা সকলে পাবেন কিনা। কারণ এত বড় জনসংখ্যার দেশে প্রত্যেককে টিকার ডোজ দিতে হলে যে পরিমাণ উত্‍পাদনের দরকার তা আগামী বছরের মধ্যেই উৎপাদন করা শেষ হবে কিনা সে নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে এইমস-এর ডিরেক্টর আশার আলো দেখিয়ে বলেছেন যে ভারতে ক্লিনিকাল ট্রায়াল যেভাবে এগোচ্ছে তাতে একুশ সালের গোড়ার দিকেই কোভিড ভ্যাকসিন চলে আসার কথা। তবে দেশের সকলের জন্য পর্যাপ্ত টিকার ডোজ তৈরি হবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য এখনই দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!