এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে আরও জাগছে আশা! খোদ ভারতের বুকেই এবার মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়ে গেল!

করোনা ভ্যাক্সিন নিয়ে আরও জাগছে আশা! খোদ ভারতের বুকেই এবার মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়ে গেল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশ এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো জেরবার। দীর্ঘদিন ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত। তবে যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হয়ে উঠছে। অন্যদিকে নিত্যদিনের রেকর্ড ভাঙার খেলায় নেমেছে করোনা। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে রেকর্ড গড়তে। এই অবস্থায় করোনাকে আটকাতে প্রয়োজন প্রতিষেধক ও ওষুধের। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিতরূপে কিছু বলতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারের দিকে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এবং এক্ষেত্রে ভারতও পিছিয়ে নেই। বেশ কিছুদিন আগেই ভ্যাকসিন নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছিল ভারতের বুকে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরীর কাজ করছে ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যে আশার আলো জ্বালিয়ে ভারতের বুকে শুরু হয়ে গেল করোনার প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল।

সূত্রের খবর, প্রথম দফায় নয়াদিল্লির এইমসে পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে 30 বছর বয়সী একজন ব্যক্তির শরীরে কোভ্যাক্সিনের প্রথম প্রয়োগ হয়েছে। অন্যদিকে ট্রায়াল পর্বে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্বেচ্ছাসেবকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত স্বেচ্ছাসেবকদের শারীরিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং তারপর ট্রায়াল পর্যায়ে আগামী ছয় মাস ধরে নজর রাখা হবে এই স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে অ্যান্টিবডি গঠিত হচ্ছে কিনা বা অ্যান্টিবডি গঠিত হলেও তা হতে কতদিন সময় লাগছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি মানবদেহে এই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বের দিকেও নজর রাখা হবে। প্রথম দফার 14 দিন কাটলে তারপর দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা গেছে। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক। সূত্রের খবর, হায়দ্রাবাদের জিনোম ভ্যালিতে ভারত বায়োটেকের বায়োসেফটি লেভেল 3 হাই কনটেইনমেন্ট ফ্যাসিলিটিতে করোনার প্রতিষেধক তৈরি হয়েছে। ভারত বায়োটেকক এর আগেও বহু প্রতিষেধক তৈরির কাজে যুক্ত ছিল। যার মধ্যে রয়েছে পোলিও পোলিয়ো, ব়্যাবিস ভাইরাস, রোটাভাইরাস, জাপানি এনসেফালাইটিস, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস। এছাড়াও 140 টিরও বেশি গ্লোবাল এবং 16 টিরও বেশি ভ্যাকসিন ও 4 টি বায়োথেরাপিউটিকস তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক।

প্রায় 116 টি দেশের রেজিস্ট্রেশন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রি-কোয়ালিফিকেশনও রয়েছে ভারত বায়োটেকের ঝুলিতে। এই মুহূর্তে ভারতের বুকে করোনার প্রতিষেধক যদি সাফল্যের ছোঁয়া পায়, তাহলে অবশ্যম্ভাবী ভারতের বুকে একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটবে বলে মনে করছেন বিষেষজ্ঞরা। তবে এই মুহূর্তে ভ্যাকসিন সফলতা পেলেও সাধারণ মানুষের কাজে আসতে সেই ভ্যাকসিনের এখনো কিছু সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত ট্রায়াল পর্ব শেষে ফলাফলের দিকে নজর রাখছে বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!