এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে সময় কি আরও দেড় বছর? বাড়ছে আতঙ্ক!

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরিতে সময় কি আরও দেড় বছর? বাড়ছে আতঙ্ক!

অন্যান্য ছোটখাটো ভাইরাসকে এতটা কঠিন ভাবে কখনও নেয়নি গোটা বিশ্ব। কিন্তু করোনা ভাইরাসের উদ্ভব এবং লাগাতার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বিশ্বের প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রনায়কদের কপালে। যার প্রধান কারণ, এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার মত এখনও পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধকের আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি।

প্রতিষেধক বলতে এখন একমাত্র সহায় সম্বল, লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার করা। তবে খাতায়-কলমে কোনরূপ প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় করোনা ভাইরাস যে তার গ্রাসকে আরও বড় করে দিচ্ছে, তা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করবার জন্য ভারত এবং বিভিন্ন দেশ ক্রমাগত চেষ্টা চালাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হবে।

কিন্তু তা যে খুব তাড়াতাড়ি আবিষ্কৃত হবে না এবং তাতে যে আরও এক থেকে দেড় বছর সময় লাগবে, তা জানিয়ে দিলেন বায়োটেকনোলজির সেক্রেটারি রেনু স্বরুপ। আর এই কথা শোনার পরেই এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি আরও এক থেকে দেড় বছর ভারতকে এভাবেই করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সহ একাধিক দেশের নানা সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে এই করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনের চেষ্টা করছে ভারত। যেখানে তাদের আর্থিক অনুদান মঞ্জুর করেছে ডিপার্টমেন্ট অব বায়োটেকনোলজি। তবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা প্রসঙ্গে এদিন বিস্তর সময়ের কথা শোনান বায়োটেকনোলজির সেক্রেটারি রেনু স্বরূপ।

তিনি বলেন, “বর্তমানে আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ এই ভ্যাকসিন তৈরি করা। এই প্রচেষ্টায় অনেক সংস্থা বিদেশী সংস্থার সাহায্য নিয়েও কাজ করছে। প্রত্যেকটি প্রচেষ্টাই এই মুহূর্তে প্রথম পর্যায়ে রয়েছে। প্রথমে পশুদের উপর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আশা করি, ভারতীয় কোম্পানিগুলো এই বছরের শেষের দিকে ভ্যাকসিনের ব্যাপারে কিছুটা আন্দাজ করতে পারবে। আমরা জানি, এই ভ্যাকসিন বানাতে এখনো 12 থেকে 18 মাস সময় লাগবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই আরও 12 থেকে 18 মাস এই ভ্যাকসিন কার্যকর হতে সময় লাগে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে চিন্তার কারণ। কেননা বর্তমানে করোনা যদি বজায় থাকে, তাহলে ভবিষ্যৎ কতটা সংকটজনক হয়ে পড়বে, তা কেউ জানে না। প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। ফলে যদি আরও দেড় বছর সময় অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে কত আক্রান্ত এবং কত মৃত্যুলীলা দেখতে হবে ভারতবর্ষকে, তা নিয়ে এখন সংশয় শুরু হয়েছে সব মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!