করোনা গবেষণায় নতুন তথ্য এবার ঘুম ওড়াতে পারে আপনার জেনে নিন অন্যান্য শরীর-স্বাস্থ্য October 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন আগেই গবেষণায় দেখা গিয়েছিল করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও মানুষের মধ্যে বেশ কিছু সমস্যা থেকে যাচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে করোনা পরবর্তী প্রভাব গুলির একটি মারাত্মক প্রভাব ভাবিয়ে তুলেছিল ডাক্তার গবেষকদের। তাদের মতে তাই করোনা দেরে গেলেও সেই নিয়ে খুশি খাওয়ার কারণ নেই বলেই জানানো হয়েছিল। তবে সম্প্রতি সেই নিয়ে সামনে এসেছে নতুন কিছু তথ্য। কিছুদিন আগেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাস একজন মানুষের দেহে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। তবে এবার ‘অ্যানালস অফ ক্লিনিক্ল্যাল অ্যান্ড ট্রান্সলেশনাল নিউরোলজি’র নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও আশঙ্কাময় তথ্য। জানা গেছে অল্প মাথাব্যথা বা মাথা দপদপ করলেও তা কোভিডের উপসর্গ হতে পারে। বস্তুত, অনেক সময়েই মানসিক চাপের জেরে, বা কাজের চাপে মাথার যন্ত্রণা করে অনেকের। তবে এবার এমনটা হলে সাবধান হতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ আপনার শরীরেও বাসা বাঁধতে পারে এই মারণ রোগ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে এর উপসর্গ নিয়ে প্রথম থেকেই সময়ে সময়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে। এছাড়া অনেকে উপসর্গহীন হওয়াতেও সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তবে এবার। এরসঙ্গে এই নতুন তথ্য যে নতুন করে দুশ্চিন্তার মেঘ বাড়িয়ে দিয়েছে, সেটা বলাই বাহুল্য। সেইসঙ্গে, গবেষণাতে দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রবল স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া ৪৩ শতাংশ মানুষ কম বয়সে স্নায়ুর সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন। এদের প্রত্যেকেই করোনাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই করোনার এই হানা য়ে কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা দিনে দিনে নতুন গবেষণা প্রকাশ করছে। তাই বলা হচ্ছে, শুধু সর্দি কাশি বা নিশ্বাস নিতে সমস্যা নয়, এবার থেকে মাথা যন্ত্রণা হলেও, আর হেলাফেলা করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে সামান্য উপসর্গ দেখলেই করোনা টেস্ট ও হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। নাহলে অজান্তেই স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। গবেষণাতে বিশ্বের বহু ক্ষেত্রে রোগীদের দেখা গিয়েছে যে, করোনার জেরে তাদের মস্তিষ্ক সমস্যা শুরু হয়েছে। যাঁদের এই সমস্যা দেখা দেয়, তাঁদের হাসপাতালের বহুদিন ধরে চিকিৎসা করতে হচ্ছে বলেও জানা গেছে। তাই আর দেরী নয়, সাবধান হন এখন থেকেই। আপনার মতামত জানান -