এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে দূরে ঠেলে দিয়ে পলাশের রঙে রঙিন তৃণমূল বিধায়ক

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে দূরে ঠেলে দিয়ে পলাশের রঙে রঙিন তৃণমূল বিধায়ক

করোনা ভাইরাস নাম শুনলেই আতঙ্কের হিমস্রোত বয়ে যাচ্ছে শিরদাঁড়া দিয়ে। ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য শিবির থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনভাবে কিছু স্বাস্থ্যকর নিয়ম মেনে চলতে হবে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সুদূর চীন থেকে এসে পৌঁছেছে এবার পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য মহলের করোনা ভাইরাস হেতু সতর্কীকরণ এর ফলে এবছর বসন্ত উৎসবে করোনাভাইরাস এর প্রভাব প্রবল ভাবে লক্ষ্য করা গেছে।

বরাবর যেখানে শান্তিনিকেতন বসন্ত উৎসবের রঙে রঙিন হয় পরিবেশ, সেখানে এবার করোনা ভাইরাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাপনায় ভিড় এড়াতে শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ উল্টো ছবি দেখা গেল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের মুকুটমণিপুর পর্যটন শিল্পে এক উল্লেখযোগ্য নাম। এই নিয়ে তৃতীয় বছর সেখানে পালন করা হল ‘পলাশ উৎসব’। করোনা ভাইরাসের সর্তকতা স্বত্তেও বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে পলাশ উৎসবে অংশ নিলেন অসংখ্য মানুষ। পলাশ উৎসব হল বসন্ত উৎসবের অন্যতম নাম।

রাঙামাটির দেশে পলাশ অত্যন্ত জনপ্রিয়। দেশ-বিদেশ থেকে পলাশ দেখার জন্য এখানে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। তবে সেই জামায়েতকেই আনন্দমন্ডিত করে তোলার উদ্দেশ্যে এদিন খাতড়া মহকুমা প্রশাসন ও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল পলাশ উৎসব এর। এই উৎসবে হাজির হয়েছিলেন রানিবাঁধ এর বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি। সম্পূর্ণ অন্যরূপে দেখা গেল এদিন তাঁকে। পলাশ ফুলে সেজে আবির মেখে সর্বসাধারণের সাথে মিশে নৃত্য পরিবেশনা করলেন তিনি। অন্যদিকে বিধায়ককে এইরূপে দেখে আপ্লুত এলাকার মানুষজন বলে খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পলাশ উৎসব উপলক্ষে এদিন মুকুটমণিপুরে বেরোয় এক বিশাল পদযাত্রা। পদযাত্রার শেষে বিশাল এলাকা জুড়ে চলে নাচ, গান, কবিতা এবং আবির খেলাও চলে। এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী সুস্মিতা মন্ডল জানিয়েছেন,’দারুণ আনন্দ হচ্ছে। সকলে মিলে একসাথে এই পলাশ উত্‍সবে অংশগ্রহণের মজাই আলাদা বলে তিনি জানিয়েছেন।’ অন্যদিকে পলাশ উৎসবকে কেন্দ্র করে যদিও প্রশ্ন উঠেছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক নিয়ে। যদিও সে প্রসঙ্গে বিধায়ক জোসনা মান্ডি জানিয়েছেন, বাঁকুড়াতে ‘করোনা ভাইরাসের কোন প্রভাব পড়েনি’। তিনি এদিন আরো বলেন, ‘সকলে মিলে আমরা রঙের উত্‍সবে মেতে উঠেছি। ফি বছর নতুন করে মুকুটমনিপুর সেজে উঠছে, আগামী দিনে আরও নতুন রুপে মুকুটমনিপুরকে পাওয়া যাবে।’

তবে বিরোধী পক্ষ থেকে পলাশ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যেখানে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের ফলে সাবধানতা হেতু বিশ্বভারতীর এতদিনের বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হল, তখন সেখানে কিভাবে এত মানুষের সমাবেশের মধ্যে দিয়ে পলাশ উৎসব পালন করা হলো! তবে এসব বিতর্ককে একপাশে সরিয়ে রেখে মনের আনন্দে এলাকাবাসী পলাশ উৎসবে মেতে উঠেছিল বলেই জানা গেছে। ইতিমধ্যে মুকুটমনিপুর আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তাই সেখানে পলাশ উৎসব বিপুল ভাবে পালন করার ফলে আন্তর্জাতিক নজরও এড়ানো যাবে না বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!