এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা ভাইরাসের গুজব আটকাতে এবার আসরে নামল প্রশাসন

করোনা ভাইরাসের গুজব আটকাতে এবার আসরে নামল প্রশাসন

সারাবিশ্বে হুহু করে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছিল চীন দেশের ইউহান প্রদেশ থেকে। ক্রমশ তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতও ছাড় পায়নি করোনার হাত থেকে। ইতিমধ্যে ভারতের কেরালা, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র সহ পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য রাজ্যেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের পাশাপাশি সোশ‍্যাল মিডিয়াতেও করোনা নিয়ে পুরোদমে প্রচার চলছে। যদিও এই প্রচারের কোনোটা ঠিক, কোনোটা ভুল।

সূত্রের খবর, বিশেষজ্ঞদের প্রচারের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারে মানুষ উপকৃত হওয়ার থেকে অনেক বেশী বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে প্রচার হচ্ছে, তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। বরং অনেকেই নানা গুজবে কান দিয়ে আরো বেশি করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে করোনার গুজব রুখতে আসরে নামল কলকাতা পুলিশ। এবার টুইট করে কলকাতা পুলিশের সিপি অনুজ শর্মা জানালেন, সোশ‍্যাল মিডিয়ায় করোনা নিয়ে যেকোন ধরনের গুজব রটালে এবার অবশ‍্যম্ভাবী জেল হতে পারে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, সোশ‍্যাল মিডিয়ার ওপর এই মুহুর্তে কড়া নজর রাখছে কলকাতা পুলিশ। করোনা নিয়ে যে পোষ্টগুলি হচ্ছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়, তার সত্য মিথ্যা যাচাই না করেই বেশ কিছু ব্যক্তি সেগুলিকে ফরওয়ার্ড করে দিচ্ছেন। ফলে মানুষের মধ্যে অযথা আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। আর তা আটকাতেই এবার কড়া পদক্ষেপ তাঁদের। করোনাভাইরাস আটকাতে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস প্রতিরোধের একমাত্র উপায় স্বাস্থ্য সচেতনতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

করোনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে খুব সহজেই করোনাকে এড়িয়ে চলা সম্ভব। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য নীতি মেনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব জায়গায় বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাস আটকাতে প্রথম প্রয়োজন হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। এ কারণেই বারে বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। জ্বর, সর্দি বা কাশি বা যে কোনো ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনরকম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়নি।

ফলে করোনাকে আটকানোর জন্য কেউ যদি কোন প্রকার টিকার কথা বলে থাকেন, তাহলে তা পুরোপুরি মিথ্যা। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক অধিকর্তা এদিন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসকে সারা বিশ্বজোড়া মহামারি রূপে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া যথেষ্টই ভালো মাধ্যম হতে পারে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু যদি এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম গুজব ও মিথ্যা খবর রটে, তাহলে সাধারণ মানুষের মনে অযথা আতঙ্ক ছড়াবে। এমনিতেই মানুষ আতঙ্কিত হয়ে আছে।

তাই এ ব্যাপারে প্রত্যেকের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসকে আটকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাস নির্ণয়ের জন্য চলছে থার্মাল স্ক্যান। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সংক্রমণ আটকানোর জন্য করোনার লক্ষণ ও বিধি-নিষেধ সমৃদ্ধ লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। আপাতত স্বাস্থ্যমহল থেকে বলা হচ্ছে সরকারি নিয়ম-নীতি প্রয়োগ করে জোর করে সচেতনতা আনা যাবে না। তার জন্য চাই নিজস্ব চিন্তাধারার পরিবর্তন। নিজেকে সচেতন হতে হবে। আপাতত করোনা ভাইরাস এর হাত থেকে মুক্তি পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা চলছে সাধারণ মানুষের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!