এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা ভাইরাসের পরিসংখ্যান ঘিরে রাজ্যে শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

করোনা ভাইরাসের পরিসংখ্যান ঘিরে রাজ্যে শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক

বিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাস করোনার প্রাদুর্ভাবের সাথে সাথে রাজ্য জুড়েও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলায় করানোর সংক্রমণ কতদুর ছড়িয়েছে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত বিতর্ক তুঙ্গে। তার মধ্যেই করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের শিকার হয়েছেন সংবাদমহল। যে কারণে করোনা আক্রান্তের জেরে মৃত 7 জন হলেও সরকারি মতে মৃতের সংখ্যা 3 ছিল। তবে মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, পশ্চিমবাংলায় করোনা ভাইরাসে এখনো পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 91 জন।

যাদের মধ্যে 13 জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন। মারা গিয়েছেন তিনজন। তাহলে হিসাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, পশ্চিম বাংলায় এই মুহূর্তে 75 জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন। রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবাংলার বুকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন 80 জন। সোমবারেও সেই পরিসংখ্যানের কোন বদল ঘটেনি বলেই জানা গেছে। তবে আজকের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি 11 জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্ত ছিলেন 68 জন। পশ্চিমবঙ্গে যত লোক বাস করে, তার তুলনায় করোনা ভাইরাস যে প্রাদুর্ভাব ছড়াতে পারেনি সে কথা মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। তিনি উদাহরণ হিসেবে দিয়েছিলেন, 61 জন করোনা ভাইরাস পজিটিভ হলেও তাঁদের মধ্যে সাতজন একই পরিবারের সদস্য। অন্যদিকে কালিম্পংয়ে যে মহিলা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর পরিবারের 11 জনের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী এককথায় জানাতে চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বুকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব সে অর্থে পড়েনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এবং রাজ্য পরিসংখ্যানের মধ্যে এই বিপুল পার্থক্য নিয়ে। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রথম থেকেই অভিযোগ জানানো হচ্ছিল, পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর ক্রমাগত তথ্য চেপে যাচ্ছে। এব্যাপারে টুইটারে বিজেপির পক্ষ থেকে পোস্ট করেছিলেন অমিত মালব্য। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন,’আমরা তো কেন্দ্রের তথ্য নিয়ে চ্যালেঞ্জ করিনি। আমরা যদি ওদের তথ্য বদলে দিই! এটা চ্যালেঞ্জের সময় নয়।’

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সাধারণ মানুষের মধ্যে যাতে করোনার আতঙ্ক দ্বিগুণ হারে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই রাজ্য সরকার এভাবে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে যেখানে যাই হোক না কেন, কেন্দ্র থেকে রাজ্য সবারই এখন প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য করোনা ভাইরাসের হাত থেকে যে কোন প্রকারে মুক্তি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!