এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনাকালে আতঙ্ক জাগিয়ে এবার বাজারে অক্সিজেনের কালোবাজারির আশঙ্কা, তুমুল শোরগোল রাজ্যে!

করোনাকালে আতঙ্ক জাগিয়ে এবার বাজারে অক্সিজেনের কালোবাজারির আশঙ্কা, তুমুল শোরগোল রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তার মধ্যে আবার নতুন করে রাজ্যে অক্সিজেন সংকট হবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কেউ কেউ। করোনা আবহে শ্বাসকষ্টের কারণে হোম আইসোলেশনে থাকলেও ডাক্তাররা বাড়িতে রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্হা রাখতে বলছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রয়োজন না থাকলেও আতংকজনিত কারণে ঘরে ঘরে বেশী পরিমাণ অক্সিজেন মজুদ রাখার প্রবণতা বাড়ছে দিন দিন।

অন্যদিকে অক্সিজেন সরবরাহকারীরা জানাচ্ছেন, সোজা পথে অক্সিজেন না পেয়ে ঘুরপথেও অক্সিজেনের খোঁজ চালাচ্ছেন অনেকে। মেডিক্যাল অক্সিজেন ইন্ডাস্ট্রির সাথে যুক্ত অনেকের মতে, এই প্রবণতা যদি এখনো না আটকানো যায়, তাহলে আগামীদিনে অক্সিজেনের যোগানে টান পড়তে পারে। বেসরকারী সূত্রে জানা যাচ্ছে, জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই অক্সিজেনের প্রবল চাহিদা চোখে পড়ছে। শুধু কোভিড আক্রান্তই না, তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরাও অক্সিজেন সিলিন্ডারের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্রের খবর, সবচেয়ে বেশী চাহিদা রয়েছে 10.2 লিটারের অক্সিজেন সিলিন্ডারের। এই পরিমাপের সিলিন্ডারে সাধারণত 1.53 কিউবিক মিটার মেডিক্যাল অক্সিজেন থাকে। অন্যদিকে অক্সিজেন সিলিন্ডারের কালোবাজারি রুখতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক একটি নির্দেশ জারি করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, লাইসেন্সবিহীন অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত রাখলে গ্যাস সিলিন্ডার আইনের (2016) 43 এবং 44 (বি) ধারায় শাস্তিযোগ্য ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এত কিছু করে পরিস্থিতির বিশেষ কোন উন্নতি হবে বলে মনে করছেন না রাজ্যের অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রেতারা। রাজ্যের এক অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার কর্ণধার সুখেন্দু সামন্ত জানাচ্ছেন, বর্তমানে অক্সিজেন সিলিন্ডারে রিফিলিং এর মাত্রা প্রায় 60 শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।অক্সিজেন সিলিন্ডারের উৎপাদনে এই মুহূর্তে কোনো সংকট নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র আতঙ্ক জনিত কারণে অক্সিজেন মজুদ রাখার পরিকল্পনা করছেন।

এরা যে আর একটি বৃহৎ অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার কর্ণধার পদম আগারওয়ালও জানাচ্ছেন, এই মুহূর্তে মেডিকেল অক্সিজেনের অভাব নেই কোথাও। তবে অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে তাঁর মতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান এর মতন অক্সিজেনের আরো আউটলেট খোলা দরকার।অন্যরকম সিজেন সিলিন্ডার প্রস্তুতকারী সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় বিপণন কর্তা শুভেন্দু সিংহ জানিয়েছেন,সারাদেশে মাত্র দুটি অক্সিজেন প্রস্তুতকারক সংস্থা আছে। এই দুই সংস্থার মিলিত প্রয়াসে প্রতি মাসে 30 থেকে 35 হাজার সিলিন্ডার তৈরি হয়।

সেক্ষেত্রে যদি 130 কোটির জনসংখ্যার দেশে 1% মানুষকে ঠিকঠাক ভাবে সিলিন্ডার আমদানি করতে গেলে 1 কোটি 30 লক্ষ সিলিন্ডারের প্রয়োজন তাই প্রয়োজন না থাকলে অক্সিজেন মজুদ রাখা কোন মতেই উচিত নয় বলে তিনি জানাচ্ছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে অক্সিজেনের চাহিদা মারাত্মক। সেই জায়গায় চাহিদা সামাল দেওয়ার মতন অক্সিজেন প্রস্তুত হওয়া দরকার। না হলে অচিরেই অক্সিজেনের কালোবাজারি শুরু হয়ে যাবে। আর সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ অক্সিজেন কিনতে গেলে আরও বিপাকে পড়বে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনাতিরিক্ত অক্সিজেন কেনাকে সমর্থন করছেন না বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!