এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনাকে ঠেকাতে কি এবার ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ? সামনে এল নতুন তথ্য

করোনাকে ঠেকাতে কি এবার ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ? সামনে এল নতুন তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে যখন বাড়াবাড়ি রকমের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, ঠিক সেই সময় একটি বিশেষ তথ্য সামনে এলো। করোনা প্রতিরোধ করতে প্রথম থেকেই প্রতিষেধকের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর এবার বলা হচ্ছে, দুটি প্রতিষেধকের ওপর যদি তৃতীয় ডোজ নেওয়া হয়, তাহলে করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী লড়াই করতে পারবে মানবদেহ। প্রসঙ্গত বরাবরই আলোচনা হয়ে আসছে, করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেবার পর তৃতীয় ডোজের প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে।

আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে অক্সফোর্ড অ্যাষ্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অ্যাষ্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ করোনার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করবে। এই তৃতীয় ডোজ শরীরে বুস্টার হিসাবে কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ডোজ নেবার ছমাস পরে যদি এই বুস্টার ডোজ নেওয়া হয় তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশেই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী অ্যাষ্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ শরীরে অ্যান্টিবডি এবং টি সেলের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারছে।

এ বিষয়ে জানা যাচ্ছে বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। কিন্তু ডেল্টা ও আলফা ভ্যারিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে প্রতিষেধক এর দুটি ডোজ ভালোমতন সুরক্ষা দিচ্ছে বলেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই তৃতীয় ডোজের প্রয়োজন আছে কিনা তা নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই বেশিরভাগ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে বুষ্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সে দেশের সরকার। পাশাপাশি, যারা এখনো প্রথম ডোজটি পাননি, তাঁদের কথা কিন্তু এবার ভাবার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অক্সফোর্ডের গবেষণায় আগেই বলা হয়েছিল অ্যাষ্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন কার্যকর হবে যদি ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি 4 সপ্তাহের বদলে 12 সপ্তাহ পরে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে, অক্সফোর্ডের গবেষণায় অংশ নেওয়া 30 জন স্বেচ্ছাসেবী যারা দেরিতে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন এবং অন্য 90 জন স্বেচ্ছাসেবী যারা তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের শরীরে কিভাবে কিরকম প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে তার দিকেই এখন নজর রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ডেল্টা প্লাস, আলফা, বিটা করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্ট দেখা যাচ্ছে। সেই অনুযায়ী বিশেষজ্ঞরাও প্রতিষেধক নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও শক্তিশালী প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টায় তাঁরা। অন্যদিকে অ্যাষ্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ডোজ বুষ্টারের কাজ করবে বলে যে তথ্য সামনে এসেছে, তা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। করোনার ভয়াবহতাকে সামাল দিতে শুধুমাত্র প্রতিষেধক, সঠিক চিকিৎসা এবং সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মানা যে অত্যন্ত প্রয়োজন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত করোনার তৃতীয় ঢেউ সামাল দিতে করোনার তৃতীয় ডোজ কতটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারে, সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!