এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনাকে ঠেকাতে নতুন নির্দেশিকা আবার নবান্নর তরফ থেকে

করোনাকে ঠেকাতে নতুন নির্দেশিকা আবার নবান্নর তরফ থেকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। রেকর্ড হারে বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গোটা দেশের মতন এই বাংলাতেও করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ এসে ধাক্কা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে গতকালই নবান্নের পক্ষ থেকে আংশিক লকডাউনের কথা ঘোষণা করা হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত শপিংমল, সিনেমাহল, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সুইমিংপুল এবং জিম বন্ধ থাকবে এবং অন্যান্য দোকান বাজার খোলার জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়মে কিছু পরিবর্তন এসেছে। তাই 24 ঘণ্টার মধ্যেই নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। নবান্ন থেকে আরেক দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে আজ।

যেখানে আংশিক লকডাউনের নিয়মে কিছু বদল এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বিয়ে বাড়ি কিংবা অন্য কোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে কড়া নির্দেশিকা এবং কঠোর করোনা বিধি মেনে উপস্থিতি 50 হতে পারে খুব বেশি হলে। এই নিয়ম শুক্রবারের নির্দেশে ছিলনা। পাশাপাশি পরিবহণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যকেন্দ্র খোলা থাকবে। পাশাপাশি টেলিকম এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান খোলা থাকবে। একইসাথে সবজি, মাংস, মিষ্টি এবং দুধের দোকান খোলা থাকবে। দুধ সরবরাহ করতে কোনো বাধা থাকবে না। গতকাল বাজার-দোকান খোলার যে নির্দিষ্ট নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল, ঘোষণা করা হয়েছিল, তাতে দৈনন্দিন সামগ্রী পাওয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শনিবারের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কিছুটা নিশ্চিন্ত। তবে সমস্ত খুচরা দোকান কিন্তু পুরোনো নিয়মে সকাল 7 টা থেকে 10 টা এবং বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা অবধি খোলা থাকবে। শপিং মলের বাইরে যেসব দোকান আছে সেগুলিও এই সময়ে খোলা রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে পাবলিক প্লেসে মাস্ক-স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব অবশ্য পালনীয় কর্তব্যের মধ্যে রাখা হয়েছে। যা না করলে শাস্তি কিংবা জরিমানা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যানবাহনের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। গতকাল আংশিক লকডাউনের নির্দেশ আসার পর আজকে সকাল দশটার পর রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে।

বেশ কিছু জায়গায় ব্যবসায়ীরা দোকান বাজার নিয়ম মতন গুটিয়ে ফেলেন। কিন্তু অনেক জায়গাতেই আবার অনিয়ম চোখে পড়েছে। তবে বেশিরভাগ জায়গাতেই পুলিশকে মাইক নিয়ে প্রচার করতে দেখা যায়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, দোকান বাজার খোলা থাকা মানে ভিড় জমানো মোটেই উচিত নয়। গতকালের নির্দেশিকাতে বলা হয়েছিল, যে কোন ধরনের জমায়েত এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ। সেই একই নিয়ম আছে আজকের নির্দেশিকাতেও। আপাতত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, লকডাউনে গিয়ে কিভাবে করোনাকে সামাল দেওয়া যায় সেই রাস্তাই খুঁজছে রাজ্য সরকার। আপাতত নতুন নির্দেশিকা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সে দিকেই থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!