এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনার ভারতীয় স্ট্রেনই এখন গোটা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ! আতঙ্ক বাড়িয়ে স্পষ্ট করল WHO

করোনার ভারতীয় স্ট্রেনই এখন গোটা বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ! আতঙ্ক বাড়িয়ে স্পষ্ট করল WHO


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে করোনার সংক্রমণ। বেশ কিছুদিন ধরে দৈনিক ৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গতকাল ও আজ করোনার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। কিন্তু মৃত্যু-মিছিল কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। দৈনিক চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন করোনা সংক্রমণে। করোনার এই তীব্র সংক্রমনের জন্য দায়ী করা হচ্ছে করোনার ভারতীয় স্টেনকে। করোনার ভারতীয় স্ট্রেন শুধু ভারত নয় গোটা বিশ্বের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমনই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলে করোনার নতুন স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এর চেয়ে অনেক বেশি ভয়ানক করোনার ভারতীয় স্ট্রেন। ব্রিটেন স্ট্রেন এর সঙ্গে মিশে এই নতুন স্ট্রেন তৈরী হয়েছে, বলে অনুমান। গত ডিসেম্বর মাসে ভারতে যা পাওয়া যায়। তবে অক্টোবর মাসেও এর একটি নমুনা পাওয়া গিয়েছিল। এই স্ট্রেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। এর কারণেই করোনার তীব্র সংক্রমণ যেমন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। ভারতীয় স্ট্রেন নিয়ে খুব বেশি তথ্য এখনো পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাতে আসেনি, তবে দ্রুত এই তথ্য চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার করোনা বিষয়ক টেকনিক্যাল অধিকর্তা মারিয়া ভ্যান কেরকভ জানিয়েছেন, করোনার ভারতীয় স্ট্রেন সারা বিশ্বের কাছে চ্যালেঞ্জ। এটি দ্রুত সংক্রামিত হয়। এটি হলো করোনার চতুর্থতম ভেরিয়েন্ট। বারবার মিউটেশনের ফলে ক্রমশ নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে এই স্ট্রেন। গবেষক সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ভারতীয় স্ট্রেন অত্যন্ত সংক্রামক। অ্যান্টিবডিও অনেক সময়ে একে রুখতে পারে না। ফলে ভ্যাকসিন নিয়েও এর সংক্রমণ থেকে রেহাই নাও মিলতে পারে। শরীরে একাধিক রোগ বাধাতে পারে করোনার এই স্ট্রেন। এখন দু ধরণের ভারতীয় স্ট্রেন পাওয়া গেছে। যা হলো ডবল ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭, ট্রিপল মিউট্যান্ট বি.১.৬১৮।

বারবার মিউটেশন এর মাধ্যমে জিনের গঠন বদলে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে এই স্ট্রেন। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের ২০০ জন করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৪২ শতাংশ মানুষের শরীরে নতুন স্ট্রেন পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গেও করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ২৮ শতাংশর দেহে পাওয়া গেছে নতুন স্ট্রেন। যার ফলে আগামী দিনে করোনার সংক্রমণ আরো ভয়াবহ ভাবে বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এর ফলে সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিলে শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সে কথা চিন্তা করে আতংকিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!