এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার ৩য় ঢেউ মারাত্মক হতে পারে শিশুদের জন্য! বাবা-মাকে এখনই কি করতে হবে জানালেন দেবী শেঠি

করোনার ৩য় ঢেউ মারাত্মক হতে পারে শিশুদের জন্য! বাবা-মাকে এখনই কি করতে হবে জানালেন দেবী শেঠি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বৃদ্ধ ও মধ্য বয়স্ক মানুষের মধ্যে বিরাট বিপর্যয় নিয়ে এসেছে। বিশেষত, মধ্য বয়স্করা ব্যাপক পরিমানে করোনা আক্রান্ত হতে শুরু করেছে। এদিকে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ শিশু-কিশোরদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক ও প্রাণঘাতী হবে বলে জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি।

বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি আশঙ্কা করেছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে শিশু-কিশোরদের ওপরে। তিনি জানিয়েছেন, দেশে উপযুক্ত পরিমাণে আইসিইউ বেডের অভাব রয়েছে। করোনার আইসিইউতে কোন শিশুকে ভর্তি করতে গেলে, তার পিতা বা মাতাকেও সামনে থাকতে হয়। শিশুদের মাতা, পিতা ছাড়া কখনই আইসিইউতে ভর্তি করা যায় না।

বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে, অন্যান্য বিষয়ে অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হয়। তাই কোন শিশুকে আইসিইউতে ভর্তি করা হলে, তার সঙ্গে তার মা বা বাবাকেও সেখানে থাকতে হবে। এ কারণেই শিশু ও পিতা ,মাতাকে দ্রুত টিকাকরণের ওপরে জোর দিতে বলেছেন চিকিৎসক দেবী শেঠি। তাঁর মতে, মাতা-পিতার টিকাকরণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি শিশুদের টিকাকরনও দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন।

চিকিৎসক দেবী শেঠি জানিয়েছেন, শিশুদের জন্য যেমন আইসিইউ বেড বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে। তেমনি শিশুদের জন্য ব্যবহৃত ঔষধ, ডিসপোজেবল বেশি করে উৎপাদন করা দরকার। ক্রোসিন সিরাপের উৎপাদন বৃদ্ধি, অক্সিজেন মাস্ক এর উৎপাদন বৃদ্ধি দ্রুত করা প্রয়োজন। এছাড়া নবজাতক শিশুদের জন্য প্রচুর পরিমাণে ভেন্টিলেটার নির্মাণের প্রয়োজনের কথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি ছাড়াও একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আশঙ্কা করেছেন যে, করোনার তৃতীয় তরঙ্গ শিশুদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হবে। তাই শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে শিশুদের টিকা করন শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেশে ১৮ বছর বা তার উর্ধের ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বহু মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে প্রথম ডোজ নিলেও, নিতে পারেননি দ্বিতীয় ডোজ। অনেকের প্রথম ডোজও এখনও পর্যন্ত নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা। প্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদেরও দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত দেশে ১২ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের সংখ্যা রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি। এই বিপুলসংখ্যক শিশুর মধ্যে যদি ২০ শতাংশ শিশু করোনা আক্রান্ত আক্রান্ত হয়ে পড়ে ও ৫ শতাংশ শিশুর যদি অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। তবে প্রচুর পরিমাণে আইসিইউ বেডের প্রয়োজন হবে। যার সংখ্যা হবে ১.৬৫ লক্ষ্য। কিন্তু দেশে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য ৯০ হাজার ও শিশুদের জন্য মাত্র ২ হাজার আইসিইউ বেড রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের ইতিমধ্যেই শুরু হতে চলেছে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। মহারাষ্ট্রে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!