এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > যে কোন মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে করোনার মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ? থরথর করে কাঁপছে গোটা বিশ্ব!

যে কোন মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে করোনার মারাত্মক দ্বিতীয় ঢেউ? থরথর করে কাঁপছে গোটা বিশ্ব!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিশ্ব থেকে করোনা আস্তে আস্তে বিদায় নিচ্ছে এমনটা মনে করা যে বোকামোর কাজ হবে, সে কথা আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন গবেষকরা। কারণ করোনা বিদায় নিচ্ছে একথা মনে করে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা শুরু করলেও করোনা যে আবার বড় আকার ধারণ করে ফিরে আসতে পারে সেই আশঙ্কাই করা হয়েছিল বহু ক্ষেত্রে।

বস্তুত করোনার জেরে ইউরোপ, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলোতে লকডাউন শিথিল করে মানুষ প্রায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে শুরু করার পরেই, বিজ্ঞানীদের আশঙ্কাকে সত্যি করে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা ভাইরাস। যাকে কিনা করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বলেই আগে থেকে সতর্ক বাণী শোনান হয়েছিল। তাই এই সমস্ত দেশগুলি আবারো কড়া লকডাউনের পথে হাঁটছে বলেই জানা গেছে।

আর যা থেকে ভারতের শিক্ষা নিয়ে এখন থেকে ভারতকে সচেতন হতে হবে বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা। বুধবারই জার্মান সরকার নতুন করে দেশে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানা গিয়েছিল। আর আজ সেই পথেই হাঁটতে দেখা গেল ফ্রান্সকে। তারা জার্মানির থেকেও কড়া লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে ইটালি এবং স্পেনেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বস্তুত করোনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের এই আশঙ্কা অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। আর সেটাই যেন এখন সত্যি হচ্ছে। যখন একটা সময় মনে হচ্ছিল করোনা ভাইরাস ইউরোপের দেশগুলি থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে। তখনই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

তাঁদের কথায় ধীরে ধীরে দৈনিক করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমলেও এখনি খুশি হওয়ার কারণ নেই বলেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেই কথা না মেনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছিল ফ্রান্স, স্পেন, ইটালির মতো দেশগুলি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা আবারও আঘাত হানতে পারে, সেই আশঙ্কা অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর ইউরোপে এখন তেমনটাই হচ্ছে বলে জানা গেছে। বস্তুত দ্বিতীয়বার করোনা মহামারীর ঢেউ আছরে পড়েছে সেখানে। পরিসংখ্যান বলছে, ফ্রান্সে গত দুদিন আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। যা কিনা সেই এপ্রিল মাসের পর এই প্রথমবার হচ্ছে। অন্যদিকে, ব্রিটেনে গত মঙ্গলবার ২৪ হাজার ৭০১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

বস্তুত, এই সব পরিসংখ্যানই গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। WHO এর কথা অনুযায়ী, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ইউরোপে করোনায় মৃত্যু প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। আর তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বুধবার ফের একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জার্মান সরকার। সেখানে হোটেল, রেস্তরাঁ, বার, পাব, সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেইসঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া সব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জমায়েতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ জন করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপ বা জার্মানির তুলনায় ফ্রান্সের লকডাউন আরও কড়া বলেই জানা গেছে। সেখানে জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইটালি, স্পেনেও বেশ কিছু ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে এই দেশগুলির অবস্থা থেকে একটা জিনিস খুব ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে যে, করোনার এই দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে ইউরোপের সব দেশই কার্যত চিন্তায় রয়েছে। আর যা থেকেই ভারতের মতো দেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, এদেশেও এখন সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। তাই নিউ নর্মাল জীবনে ফিরতে গিয়ে করোনা বিদায় নিচ্ছে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই যতটা সম্ভব করোনা সতর্কতা পালন করার কথাই জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!