এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > করোনার জেরে এলাকার দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিধায়ক

করোনার জেরে এলাকার দুর্গতদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিধায়ক

বর্তমান সময়ে করোনার ভয়াবহতাকে সামনে রেখে মানবিকতার ধর্মকেই বেছে নিয়েছেন অনেকে। করোনার ভয়াবহতার ফলে যখন রাজ্য, দেশ এবং বিশ্ব কার্যত সংকটের মুখে, ঠিক তখনই রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বেশ কিছু মানুষ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দুর্গতদের। করোনা সংক্রমণের জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ গরিব, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলোর বিপদ হয়েছে সব থেকে বেশি। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্যের কথা বলা হয়েছে।

রাজ্য সরকার ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এবার করোনার মোকাবিলাতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নামলেন হাড়োয়ার বিধায়ক নুরুল ইসলাম। এদিন সকালে তিনি এলাকাবাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেন বলে জানা গেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকেই করোনা সংক্রমণকে আটকাতে আশ্রয় নিয়েছেন লকডাউনের। লকডাউন চলাকালীন রাজ্যবাসীকে যাতে কোনরকম অসহায় অবস্থার পড়তে না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লকডাউন এর নিয়ম অনুযায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী ছয় মাস রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে রেশন বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গরীব অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে এই মুহূর্তে অনেক সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষকেই দেখা যাচ্ছে। সামর্থ্যমতো প্রত্যেকেই কিছু না কিছু খাদ্যদ্রব্য তুলে দিচ্ছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষগুলির হাতে। ঠিক একইভাবে হাড়োয়ার বিধায়ক নুরুল ইসলাম এলাকার মানুষের পাশে এসে দাঁড়ালেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বুধবার সকালে তিনি একটি ভ্যান বোঝাই করে চাল, ডাল, আলু এবং বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন শুকনো খাবার, দুধ, বিস্কুট নিয়ে নিজের এলাকায় যান। ব্লক সভাপতি শফিক আহমেদকে তাঁর সঙ্গে দেখা যায়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তিনি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেকের শারীরিক খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গরীব মানুষগুলি তাঁদের বিধায়ককে এত সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত বিধায়ক নুরুল ইসলাম এর আগেও সঙ্কটকালে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, আয়লার কথা বলা যেতে পারে। সামাজিক বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা সংক্রমনের জেরে যে দুর্বিষহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা যুঝতে প্রতিটি মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ছে। একে অপরের পাশে থেকে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সকলে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণকে ব্যাপকহারে ছড়ানো রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মিলিত সিদ্ধান্তে লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। অন্যদিকে বিজ্ঞানীদের দাবি, একমাত্র সচেতনতা এবং সতর্কতাই মুক্তি দেবে করোনার হাত থেকে। তাই এই মুহূর্তে দেশজুড়ে তথা রাজ্যজুড়ে চলছে সচেতনতার পাঠ পড়ানোর।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!