এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > করোনার প্রতিষেধক কবে মিলবে ? বিজ্ঞানীরা জাগালেন আশা

করোনার প্রতিষেধক কবে মিলবে ? বিজ্ঞানীরা জাগালেন আশা

চীন থেকে উদ্ভূত করোনা ভাইরাস একরকম মহামারীর আকার নিয়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশে। আপাতত চীন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সারাবিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা 13 হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ।

দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। এখনো পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রতিরোধে কোন ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তবে প্রতিষেধক আবিষ্কার এর জন্য দুরন্ত গতিতে গবেষণা চলছে বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা প্রতিষেধকের জন্য বিশ্ববাসীকে হয়তো আর 18 মাস অপেক্ষা করতে হবে। করোনাভাইরাসকে আটকানোর জন্য বিজ্ঞানীমহলে শুরু হয়েছিল উথালপাতাল। এই অবস্থাতে মার্কিন চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, 18 মাসের আগেই হয়তো প্রতিষেধক বাজারে এসে যাবে।

এর সঙ্গে মার্কিন চিকিৎসক ডক্টর জেফ কলেয়র জানিয়েছেন, করোনার প্রতিষেধক তৈরি হচ্ছে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন ও অজিথ্রোমাইসিনের এর যৌথ কম্বিনেশনে। তাঁদের দাবি, ফ্রান্সের একটি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এই দুটি ড্রাগ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, 2002 সালে বিশ্বজুড়ে যে সার্সের আবির্ভাব ঘটেছিল, তার সঙ্গে কিছুটা চরিত্রের মিল রয়েছে কোভিড-19 ভাইরাসের। এই অবস্থায় চিকিৎসক কলেয়র জানাচ্ছেন, করোনার নিরাময়ে হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন দারুণভাবে সাড়া ফেলবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ফ্রান্সের চিকিৎসকরা দাবি করেছেন, 14 জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মধ্যে বেশিরভাগ হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ দেওয়ার ফলে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এমনকি হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন ও অজিথ্রোমাইসিনেরকম্বিনেশনে 100% করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তোলা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। রোগ ধরা পড়ার পরবর্তী স্তরে মোটামুটি ষষ্ঠ দিন থেকেই ধরা পড়ছে উন্নতি। এর ফলে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী মহলে আশা জেগেছে। এই ঘটনায় এই দুটি ওষুধের কম্বিনেশন করোনার প্রতিষেধক হবার কথায় বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের চিকিৎসক মহল এবং জনমানসে যে আশার সঞ্চার হয়েছে, তার মধ্যেও কিছুটা আশংকা থেকে যাচ্ছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন থেকে পরবর্তীকালে বিভিন্ন রিঅ্যাকশন দেখা দিতে পারে। যেরকম- চোখ খারাপের সম্ভাবনা প্রবল। চিকিত্‍সক কলেয়র দাবি করেছেন, কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে হৃদরোগের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অতএব, হাইড্রোঅক্সিক্লোরোকুইন ও অজিথ্রোমাইসিনের এর ব্যবহার রোগীদের ওপর ভবিষ্যতে কি প্রভাব ফেলবে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমনের ওষুধ বা প্রতিষেধক বাজারে আসতে এখনো 12 থেকে 18 মাস দেরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে চিকিৎসক মহলে। তবে চিকিৎসকরা সর্বসাধারণের জন্য একটি সাবধান বাণী দিয়েছেন।

তাঁরা বলছেন, যদি কোনো খবরে কোনরকম ওষুধকে সুফলদায়ক হিসেবে উল্লেখ করার ভিত্তিতে কোনো রোগী নিজে তা প্রয়োগ বা ব্যবহার করেন, তাহলে তার ফল হবে মারাত্মক। বলা যায়, করোনা রোগী জীবন মরণ পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন। একমাত্র করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসকরাই সঠিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস এর বিস্তার বাড়ছেই। প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। এই মহামারী সামলাতে বেকায়দায় পড়েছে বিশ্বের সব দেশ। তাই বিশ্বের মানুষকে বাঁচাতে করোনার প্রতিষেধক আসার কথা শুনে চাঞ্চল্য জেগেছে সারা বিশ্বের চিকিৎসক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!