এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > করোনার করাল থাবা থেকে বাঁচতে কড়া লকডাউন! ‘স্টক করতে’ সুরাপ্রেমীদের ভিড়ে উপচে পড়ল মদের দোকান

করোনার করাল থাবা থেকে বাঁচতে কড়া লকডাউন! ‘স্টক করতে’ সুরাপ্রেমীদের ভিড়ে উপচে পড়ল মদের দোকান


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ থেকে রাজ্যে জারি হলো লকডাউন, যা আগামী ২ সপ্তাহব্যাপী জারি থাকবে। রাজ্যে লকডাউন থাকাকালীন সকাল বেলায় মুদিখানা, বাজার সহ বেশ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে, মিষ্টির দোকান খোলারও অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয়া হয়নি। এ কারণে গতকাল বিকেল বেলায় রাজ্যের সর্বত্র মদের দোকানের সামনে দেখা গেল লম্বা লাইন। কোনরকম সামাজিক দূরত্ব না মেনে ঠাসাঠাসি করে লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেল সূরাপ্রেমী মানুষদের। যা থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতবছর লকডাউন এর সময় দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল মদের দোকান। দীর্ঘদিন ধরে মদ খেতে না পেয়ে হাঁসফাঁস করতে হয়েছিল মদ্যপায়ীদের। সূরা প্রেমীদের এবার আর কোন ঝুঁকি নিতে দেখা গেল না। অনেকেই গতকাল বিকেলে লাইন দিয়ে ব্যাপক পরিমাণে মদ কিনে রাখলেন। অনেকদিন মদের দোকান বন্ধ থাকবে। তাই ভান্ডার ভরে রাখলেন অনেকেই। রাজ্যের সর্বত্র মদের দোকানের সামনে দেখা গেল লম্বা লাইন। লকডাউন ঘোষণার পর গতকাল বিকেলে মাছ, মাংস, সবজি, মুদিখানা, ওষুধের দোকানের সামনেও লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল। কিন্তু মদের দোকানের সামনে যে ভিড় দেখা গেল, তা আর কোথাও দেখা যায়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল কলকাতার ধর্মতলার এক মদের দোকানের সামনে বিরাট লম্বা লাইন দেখা যায়। সাতটা বেজে যাবার পর দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। তখনও অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন ছবি দেখা গেল হাওড়ার শিবপুরে। যেখানে কোনো রকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ঠাসাঠাসি, গাদাগাদি করে মদের দোকানের সামনে লাইন দিলেন মদ্যপায়ীরা। হুগলির ব্যান্ডেল, চুঁচুড়া, চন্দননগর সহ একাধিক স্থানে এই ছবি চোখে পড়ল। এমন ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলাতে।

মদ্যপায়ীদের ভিড় দেখা গেল উত্তরবঙ্গের জেলাতেও। জলপাইগুড়ি জেলায় অস্বাভাবিক ভিড় দেখা গেল মদের দোকানের সামনে। কোচবিহারে মদ কিনতে আসা এক ব্যক্তি জানান, গত বছর লকডাউনে মদের দোকান বন্ধ থাকায় খুব সমস্যায় পড়েছিলেন তিনি। বাড়তি টাকা দিয়ে মদ কিনে ছিলেন সেসময়। বহু টাকা তিনি খরচ করেছিলেন মদ খেতে। তাই এবার আর কোনো ঝুঁকি নেননি, প্রচুর কিনে রেখেছেন। গতকাল মদ মজুদ করতে দেখা গেলো মদ্যপায়ীদের ভিড়। করোনা আছে বলে, আদৌ মনে হলো না। বলা যেতে পারে। জীবন বাজি রেখেও চললো মদের কেনা-বেচা। অনেকে পেলেন, অনেকে না পেয়ে হতাশ হলেন।

গতকাল সাতটা বেজে যাওয়ার পর মদের দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। অনেক স্থানে তখনও বহু মানুষের ভিড় ছিল। অনেকেই তখনও পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, আর একটু সময় দিতে। শেষ পর্যন্ত বহু জায়গায় মদ্যপায়ীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। গতকাল যেভাবে মদের দোকানে ভিড় দেখা গেল, তা থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন অনেকেই। কোন রকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনে, ঠাসাঠাসি, গাদাগাদি করে মদ কিনতে গিয়ে অজান্তে যে হাতছানি দেওয়া হলো মারণ ব্যাধিকে, সেকথা হয়তো মনেই ছিল না মদ্যপায়ীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!