এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে বড়দের সাবধানতা জরুরী, দাবী বিশেষজ্ঞদের

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে শিশুদের বাঁচাতে বড়দের সাবধানতা জরুরী, দাবী বিশেষজ্ঞদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টকরোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কে ইতিমধ্যেই তটস্থ দেশবাসী। প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলানো সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপাতত বেশ কিছুটা নিম্নগামী করোনার সংক্রমণ। কিন্তু তার মধ্যেই বিশেষজ্ঞদের তৃতীয় ঢেউয়ের বার্তা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পাশাপাশি করোনার তৃতীয় ঢেউ যে শিশুদের শরীরেই সংক্রমণ ছড়াবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের মতে, ছোটদের বাঁচানোর জন্য বড়দের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক জয়দেব রায় স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, করোনার বিগত দুটি ঢেউয়ে ছোটদের আক্রান্ত হবার ঘটনা কিন্তু আছে।

যেহেতু ব্যাপকভাবে ছোটরা আক্রান্ত হয়নি, তাই সামনে আসেনি সেসব। কিন্তু তৃতীয়বারের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এরকম নাও থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আগামীদিনে করোনা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসছে এবং সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে কমবয়সীরা, যার মধ্যে শিশুরা অন্যতম। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের কোলাঘাটে আটটি শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে হইচই। অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ অবিলম্বে হানা দিতে চলেছে রাজ্যে। কিন্তু এক্ষেত্রে ডাক্তার জয়দেব রায় জানিয়েছেন, কোলাঘাটের ঘটনা নিছকই স্বাভাবিক, এর আগেও করোনা আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অবিলম্বে যদি আক্রান্তদের বাড়ি আইসোলেট করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে এই রোগ আর ছড়াবেনা। তবে আগামী দিনে শিশুদের সাবধান রাখতে গেলে অবিলম্বে বড়দের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লকডাউনকালে প্রথম থেকেই শিশুরা বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু বড়রা কখনো অফিসে, কখনো বাজার হাটে যাচ্ছে। এবং তাঁদের মাধ্যমেই বাড়িতে করোনা ঢুকছে। সেক্ষেত্রে বড়দের সাবধানতা গ্রহণ করা অনেক বেশি জরুরী। পাশাপাশি নজর রাখতে বলা হয়েছে, শিশুরা যাতে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ঠিকভাবে ব্যবহার করে তার ওপর। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তৃতীয়বারের করোনা সংক্রমণ অন্যান্যবারের থেকে অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।

কারণ করোনাভাইরাস মিউটেশন পদ্ধতিতে নিজের শক্তি অনেক বেশি বাড়িয়ে নিয়েছে। এক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন, শিশুদের যেহেতু এখনও কোনো করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি, তাই শিশুদের ওপর এই সংক্রমণ ব্যাপক প্রভাব ফেলতে চলেছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে যে টিকাকরণ প্রয়োজন সে কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে শিশু এবং কমবয়সীদের বাঁচাতে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই এখন সবার নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!