এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যবাসীর চিকিৎসা সুনিশ্চিতে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার

হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! রাজ্যবাসীর চিকিৎসা সুনিশ্চিতে বড়সড় পদক্ষেপ মমতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট উৎসবের মরসুম শুরু হতে না হতেই বাংলায় সংক্রমণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। শুধুমাত্র দ্বিতীয় বা তৃতীয়াতেই করোনা রেকর্ড হারে সংক্রমণ বাড়িয়ে চলেছে। শুধু মাত্র কলকাতাতেই নয়, সারা রাজ্য জুড়ে করোনা বৃদ্ধির হার রীতিমতো ঊর্ধ্বমুখী বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎসবের শেষেই করোনার প্রবল বৃদ্ধি চোখে পড়বে। আর সেক্ষেত্রে চিকিৎসা-বিভ্রাট এড়াতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছেন।

এমনিতেই অভিযোগ ওঠে করোনার চিকিৎসা করাতে এসে বেড পাননা রোগীরা। তাই এবার রাজ্যের কোভিড হাসপাতালের বেড বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই নির্দেশ আসার 24 ঘণ্টার মধ্যেই নির্দেশ কার্যকর করল রাজ্য প্রশাসন। শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়, বেসরকারি হাসপাতালের শয্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উৎসবের শেষে যাতে করোনা ঊর্ধ্বমুখী হলেও রোগীরা যাতে কোনরকম অসুবিধায় না পড়েন, তার জন্য পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স এবং হাসপাতালের বেডের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সেই নির্দেশ মেনে এদিন রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নতুন 1639 টি কোভিড বেডের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। কলকাতার পাশাপাশি জেলার করোনা হাসপাতালগুলিতেও শয্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু করোনা রোগীদের জন্য নয়, সংকটাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রেও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বা বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে 535 টি অতিরিক্ত আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যে আরো 2174 টি করোনা শয্যা বাড়ানো হলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কলকাতা মেডিকেল কলেজে যেমন বেড়েছে 100 টি শয্যা, সেরকমই এম আর বাঙুরে 70 টি, রাজারহাট ক্যান্সার হাসপাতালে 50 টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি এবার বেসরকারি করোনা হাসপাতালেও অতিরিক্ত কয়েকশো বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে রাজ্যবাসী সঠিক চিকিৎসা পান সঠিক সময়ে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে করোনা প্রত্যেকদিন রেকর্ড ভাঙছে দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে। দৈনিক মৃত্যুতেও দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছে বাংলা। তার ওপরে এখন বাংলা জুড়ে দুর্গোৎসব। যেকোনোভাবে মানুষ অসতর্ক হলেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একই মত প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদেরও। আর তাই সোমবার নবান্নে একটি জরুরী ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী এবং সেই বৈঠকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিটি কোভিড হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেন তিনি, যা 24 ঘন্টার মধ্যেই কার্যকর হলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, বরাবরই কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় বেশি রোগী মেলে। তবে উৎসবের মরসুমে সেই সংখ্যা যে কোথায় গিয়ে পৌঁছবে তা জানা নেই কারোর। বর্তমানে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গযুক্ত। এই অবস্থায় আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সেদিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্যের চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা এবং প্রশাসনিক কর্তারাও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!