এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনার ভ্যাক্সিন এলেও নেই শান্তি? সবাই পাবে না তা? কেন্দ্রীয় ঘোষণায় শুরু চরম জল্পনা

করোনার ভ্যাক্সিন এলেও নেই শান্তি? সবাই পাবে না তা? কেন্দ্রীয় ঘোষণায় শুরু চরম জল্পনা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন ঘোষণা করেছিলেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে করোনার প্রতিষেধক আসতে চলেছে। দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এই অবস্থায় প্রতিষেধকের চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যেই করোনার প্রতিষেধক নিয়ে কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ভারত ও পিছিয়ে নেই। আর সেই সূত্রেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে দেশের 30 কোটি মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

কারণ, 130 কোটির দেশের 30 কোটি মানুষকে যদি টিকা দেওয়া হয়, তাহলে বাকী একশো কোটি মানুষের কি হবে ? অবশ্য প্রাথমিকভাবে করোনা যুদ্ধে যারা প্রথম সারির যোদ্ধা রয়েছেন তাঁদেরকেই আগে প্রতিষেধক দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে কাদের করোনা প্রতিষেধক দেওয়া হবেনা, তা কিন্তু এখনও আলোচনার জায়গায় অবশিষ্ট। তবে কেন্দ্রের ধারণা, 30 কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিলেই সারা দেশে করোনার সংক্রমণ রোধ হবে। আর এই ধারণা নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন মহলে।

প্রথম সারির যোদ্ধারা ছাড়া আর কারা প্রতিষেধকের তালিকায় থাকবেন, তা নিয়ে এই মুহূর্তে চলছে ব্যাপক কাটাছেঁড়া।  দিবারাত্র আলোচনা চলছে কেন্দ্রীয় শিবিরে। আপাতত জানা গেছে, করোনার প্রতিষেধক নেওয়া কারোর কাছে বাধ্যতামূলক করা হবে না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, প্রতিষেধক আসার পর হয়তো এমনও হতে পারে, যে অনেকেই হয়তো এই প্রতিষেধক নিতে চাইছেন না। এমনকি অগ্রাধিকারের তালিকায় যারা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ প্রতিষেধক বাতিল করবেন।

আর সে ক্ষেত্রে যারা প্রতিষেধক নিতে চাইবেন না, তাঁদেরকে কোনমতেই জোর করা হবে না। সে ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, দেশের 130 কোটি মানুষের প্রত্যেককেই যে করোনার প্রতিষেধক নিতে হবে এমন কোনো কারণ বা প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইঙ্গিত মিলেছে, দেশের সমস্ত নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়াটা বড় কথা নয়। বরং সংক্রমণ রুখতে চিকিৎসকদের কথামতো নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ মেনে চলার ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, সরকার থেকে কোথাও বলা হয়নি গোটা দেশের প্রত্যেক মানুষকে করোনার প্রতিষেধক দেওয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বরং টিকাকরণের পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার উপর। সেক্ষেত্রে সংক্রমণের ধারাকে রুখে দেওয়াই আসল কাজ বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে আইসিএমআর এর প্রধান ডাঃ বললাম ভার্গবের কথাতে ইঙ্গিত মিলেছে, দেশের সমস্ত অধিবাসীকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। তার আগেই হয়তো সংক্রমণ রোখা যাবে। ডক্টর বলরাম ভার্গব সম্প্রতি জানিয়েছেন, বর্তমানে মূল লক্ষ্য করোনাকে আটকানো। সে ক্ষেত্রে গুরুতর আক্রান্ত যারা তাঁদেরকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে এবং সংক্রমণের চেন ভাঙা হবে।

তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, নীতি আয়োগ এর সদস্য বিনোদ পলের নেতৃত্বে ভ্যাকসিন এর যে জাতীয় কমিটি রয়েছে অর্থাৎ যাদের শরীরে ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাদেরকেও অর টিকা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা চলছে তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন দেশের জনগণ।

গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে প্রতিষেধক সবাইকে না দেওয়ার আলোচনায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, 100 কোটি মানুষকে প্রতিষেধক না দিলে যথারীতি তাঁদের শরীরে জীবাণু থেকেই যাবে। এবং আবারও করোনা বংশ বিস্তার করবে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণায় কাবা প্রতিষেধক পাবে এই নিয়ে এখন শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা অনেকের মতে,নিম্নবিত্তদের হাতের বাইরে থাকবে এই প্রতিষেধক। করোনা প্রতিষেধক এখনো পর্যন্ত আসেনি।

কিন্তু তার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে বাছবিচার শুরু করেছে, তা কিন্তু যথেষ্ট সমালোচনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। এই মুহূর্তে দেশের প্রতিটি মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কিত। সেক্ষেত্রে প্রতিষেধক বের হলেও সবাই যে তা পাবেননা, সে ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই। যথারীতি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষেধক সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা ইতিমধ্যেই যে মানুষের আশা ভঙ্গ করছে, সে ব্যাপারে একমত সবাই।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!