এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > করোনাতে মানুষের জীবনকে নয়-চোরেদের বাঁচাতে ব্যাস্ত মুখমন্ত্রী’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

করোনাতে মানুষের জীবনকে নয়-চোরেদের বাঁচাতে ব্যাস্ত মুখমন্ত্রী’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নারদকান্ডে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সহ এক তৃণমূল বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে। যে ঘটনার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতি বিপদজনক। তাই এই মুহুর্ত ঘুরিয়ে দিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

শুধু তাই নয়, বর্তমানে এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করে করোনা পরিস্থিতি আরও সংকটজনক করে তুলতে চাইছে কেন্দ্র বলেও অভিযোগ করছে তৃণমূল। তবে এবার তৃণমূলের সেই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যেখানে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাগী নেতাদের বাঁচাতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ করতে দেখা গেল তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূল নেত্রী এবং রাজ্যের শাসক দল যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই বৈঠকে তাদের কিছুই বলতে দেওয়া হয়নি বলে সরব হতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের কোনো তৎপরতা নেই বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর এরপরই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

রাজ্যের বেশ কিছু নেতা, মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পরে যেভাবে তাদের বাঁচাতে সিবিআই দপ্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “বর্তমান সময়ে দাগী নেতাদের বাঁচাতে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী। তাই মানুষকে ভগবানের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।” আর বর্তমান সময়ে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, দিলীপ ঘোষ এই কথা বলে তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর ভোটে হেরে যাওয়ার পর বিজেপি প্রতিহিংসা পরায়ণ আচরণ করে সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল ঘাসফুল শিবির। যার ফলে বিজেপিও কিছুটা অস্বস্তির মুখে পড়ে গিয়েছিল।

তবে নেতা-মন্ত্রীরা গ্রেফতার হওয়ার পর সরাসরি সিবিআই দপ্তরে পৌঁছে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর করোনা পরিস্থিতি যখন সঙ্কটজনক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি না সামলে কেন অভিযুক্ত নেতাদের ছাড়াতে গেলেন,এখন সেটাই প্রশ্নাকারে ছুড়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার ফলে তৃণমূলকে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটাই অস্বস্তি পোহাতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!