প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, আমেরিকাতে লক্ষ্য লক্ষ্য অধিবাসী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট করোনার হাত থেকে বেঁচেছিলেন। কিন্তু এবার তাঁকেও আক্রান্ত হতে হলো। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে এসেছেন বলে জানা গেছে। আর তারপরেই ট্রাম্প এবং জো বাইডেনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আবারও মাত্রা পেতে শুরু করেছে।

আমেরিকাতে সামনেই আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই উপলক্ষে কিছুদিন আগেই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখোমুখি হয়েছিলেন একটি বিতর্কে। সেই বিতর্কে রেশ ধরে এদিন ট্রাম্প ইচ্ছাপ্রকাশ করেন দ্বিতীয় বার বাইডেনের মুখোমুখি হওয়ার। কিন্তু জো বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্প যদি এখনও করোনা আক্রান্ত থাকেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে বিতর্কে অংশ নেবার কোন প্রশ্নই নেই। এদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট একটি টুইট করে জানিয়েছেন, 15 ই অক্টোবর মায়ামিতে যে বিতর্ক হবে সেখানে তিনি জো বাইডেনের মুখোমুখি হতে আগ্রহী।

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বাইডেন বলেছেন, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের উপর ভিত্তি করেই তিনি বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বাইডেনের বক্তব্য, চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। ডাক্তাররা যে পরামর্শ দেবেন, সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে জো বাইডেন হয়তো পরোক্ষে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্দেশ দিলেন সাবধানে থাকার জন্য। অন্যদিকে মার্কিন মুলুকে ট্রাম্পের থেকে কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জনসমর্থন ক্রমশ বাড়ছে।

গত 30 শে সেপ্টেম্বর থেকে পয়লা অক্টোবর এর মধ্যে এনবিসি নিউজ এবং ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল একটি সমীক্ষা চালায় মার্কিন মুলুকে। সেই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জো বাইডেনকে মার্কিন মুলুকে 53% ভোটার সমর্থন করছে। অন্যদিকে ট্রাম্পের পক্ষে রয়েছে মাত্র 39% ভোটার। 20 সেপ্টেম্বর যখন এনবিসি নিউজ এবং ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এই সমীক্ষা চালিয়েছিল, তখন ট্রাম্পের চেয়ে মাত্র ছয় পয়েন্টে এগিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 14 এ।

প্রসঙ্গত মার্কিন মুলুকে করোনার পর থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা ক্রমশ নিম্নগামী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও হাসপাতাল থেকে হোয়াইট হাউসে পা রেখেই একটানে তাঁর মুখের মাস্ক খুলে ফেললেন। একথা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। ওদিকে এত দ্রুত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসায় শুরু হয়েছে অন্য বিতর্ক। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, চিকিৎসকদের কি চাপের মুখে পড়েই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ছেড়ে দিতে হলো?