এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > করোনা সামাল দিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মমতা ব্যানার্জ্জী ও সচিবরা, কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে?

করোনা সামাল দিতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মমতা ব্যানার্জ্জী ও সচিবরা, কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাংলায় বেশ ভালো মতনই আছড়ে পড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যত দিন যাচ্ছে, ততই রাজ্যের করোনা সংক্রমিত সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণের হার প্রায় 16 হাজারের কাছাকাছি। তার মধ্যেই রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। আর মাত্র এক দফা নির্বাচন বাকি। আজকে চলছে সপ্তম দফার নির্বাচন। আর এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বসলেন করোনা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বৈঠক নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে, করোনা সামাল দিতে রাজ্য কোন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে চলেছে?

রাজ্যের করোনা সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিগত 24 ঘন্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন 15189 জন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় 57 জনের। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রাজ্যের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। করোনাকে আটকাতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হবে, সেই বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৈঠকে বসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আর সেখান থেকেই তিনি করোনার বাড়বাড়ন্তর জন্য দায়ী করেছেন নির্বাচন কমিশনকে।

প্রশ্ন তোলেন তিনি, অন্যান্য যেসব রাজ্যে ভোট হয়েছে সেখানে কোন জায়গায় একদফা, কোন জায়গায় দু’দফা কিংবা তিন দফায় ভোট হয়েছে। শুধুমাত্র বাংলায় কেন আট দফায় নির্বাচন হলো? এই 8 দফা নির্বাচনের কারণে করোনা মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তবে পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, আগেরবার যেভাবে করোনাকে সামাল দেওয়া গিয়েছিল এবারেও ঠিক সেভাবেই তিনি করোনা ঝড় সামলে নেবেন। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি লকডাউন আবার ফিরে আসছে রাজ্যে? তবে সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন লকডাউন পালন করোনা থেকে বাঁচার রাস্তা নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বরঞ্চ সচেতনতাই করণা থেকে বাঁচাতে পারে মানুষকে। তবে মনে করা হচ্ছে, নতুন করে কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি হতে পারে এলাকাভিত্তিক এবং সেই সমস্ত জোনে নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে বলে খবর। আবার অনেকেই মনে করছেন, প্রয়োজনে সপ্তাহে দুদিন কড়া লকডাউন ঘোষণা হবে। গোটা দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক অক্সিজেনের আকাল। বাংলাতে যাতে সে রকম কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য বাড়তি কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে এই বৈঠকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি কলকাতায় প্রতিদিন হাজারের ওপর মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের করোনা বেড বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

একইসাথে সেফ হোম পরিকাঠামো বাড়াতে আরও তৎপর রাজ্য প্রশাসন। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনা রোগীদের জন্য 60% বেড নির্দিষ্ট রাখার। পাশাপাশি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একদিকে রাজ্যের নির্বাচন, অন্যদিকে করোনা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই দুইয়ের ধাক্কায় রাজ্য সরকার রীতিমতো কোণঠাসা। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তৃণমূল নেত্রী তথা বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বৈঠকে বসে কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন, সেদিকে কিন্তু কড়া নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!