এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে এবার সিবিআইয়ের জালে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা ও তাঁর ৩ সঙ্গী

কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির দায়ে এবার সিবিআইয়ের জালে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা ও তাঁর ৩ সঙ্গী

সর্ষের মধ্যেই ভূত। এতদিন পর্যন্ত যেখানে ভারতের একসময়ের বেশকিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের নামে অভিযোগ উঠেছিল, জনগণের টাকা লোপাট করার, এবং ওই ব্যবসায়ীরাও ভারত ছাড়া হয়ে গেছে কোনকালে। এখনো পর্যন্ত কারোর কাছ থেকে এক টাকাও উদ্ধার করা যায়নি বলে জানা যায়। কিন্তু এবার চাঞ্চল্যকর ব্যাপার হল, সিবিআইয়ের জালে খোদ কেন্দ্রীয় বিজেপি দলের নেতা অভিযুক্ত হয়েছেন আর্থিক কেলেঙ্কারিতে। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।

সম্প্রতি সিবিআই এর পক্ষ থেকে বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজের নামে আর্থিক তছরূপের মামলা করা হয় বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, 2013 সালে তিনি ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে 60 কোটি টাকা ঋণ নেন কিন্তু তারপরেই ঋণ শোধ না করে তিনি বেপাত্তা হয়ে যান বলে খবর। আর এতদিনে ষাট কোটি টাকা সুদে আসলে বেড়ে দাঁড়িয়েছে 67 কোটি টাকায়। কিন্তু ঘটনা আবার অন্যদিকে মোড় নেয় যখন বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ দাবি করেন, তিনি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সমস্ত টাকা 2018 সালে মিটিয়ে দিয়েছেন।

পুরো ঘটনাটি একটু তলিয়ে দেখা যাক। মোহিত কাম্বোজ একসময় ছিলেন ‘অভিযান ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক একটি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। সে সময় তিনি ওই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসাবে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে 60 কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু  ঋণ নেওয়ার পরে যখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মোহিত কাম্বোজের খোঁজ শুরু করে, তখন তাঁকে আর পাওয়া যায়না। অন্যদিকে ব্যাংকের ঋণ এবং তার সুদও সময়ের হাত ধরে ক্রমশ বেড়ে ওঠে।

2015 সালে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ অভিযান ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামক সংস্থাকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে বলে জানা যায়। এরপরে সংস্থার প্রত্যেক ডিরেক্টররা রাতারাতি পদত্যাগ করেন বলে খবর। অন্যদিকে শোনা যায়, ব্যাংক থেকে বিশাল অঙ্কের টাকা ঋণ নেওয়ার পরেই বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ নিজের নাম পরিবর্তন করেন এবং ভারতীয় হয়ে যান। আরো তিনজন ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন জিতেন্দ্র কাপুর, অভিষেক কাপুর এবং নরেশ কাপুর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সিবিআই এই প্রত্যেকের নামে জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা করেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 2014 সালের ঋণ নেওয়ার পর থেকে অভিযান ওভারসিজ প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর এর মধ্যে কেউই ব্যাংকের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি বলে জানায় ব্যাঙ্ক অফ ইণ্ডিয়ার কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ওই কোম্পানিকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য, এই ঘটনার পরে মোহিত কাম্বোজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

এবং তিনি এই সূত্রে জানান, 2018 সালে তিনি ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে 32 কোটি টাকা দিয়ে সমস্ত ধার বাকি মিটিয়ে দেন। তাই এত বছর পরে কেন তাকে আবার নতুন করে অভিযুক্ত করা হল, সে প্রসঙ্গ তাঁর বোধগম্য হচ্ছেনা। মোহিত অবশ্য এই অবস্থায় সিবিআইয়ের কাজে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে। যদিও এই ঘটনা সামনে আসার পরেই দেশের বিরোধী মহলে শুরু হয়েছে তুমুল হইচই। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রীয় দল বিজেপি এই মুহূর্তে দেশের সরকার চালাচ্ছে।

এই অবস্থায় তাদের দলের কোন নেতা যখন এ ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছে, তা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলবে এই সরকারের কপালে। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের মত, কেন্দ্রীয় সরকারের পুরো ব্যাপারটি তদন্ত করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।  অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এই ঘটনা সামনে আসার পর যথারীতি বিরোধী শিবিরগুলি অত্যন্ত চাপ সৃষ্টি করবে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর। আপাতত সম্পূর্ণ ঘটনার ওপর নজর রাখবে দেশের ওয়াকিবহাল মহল

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!